নেত্রীর আন্দোলন-অবদান ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে হবে, TMCP-র সভায় পরামর্শ কুণালের

ছাত্রনেত্রী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। আজ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ছাত্রসাথী-ছাত্রবন্ধু। ছাত্রসমাজ ও শিক্ষার প্রগতির জন্য তিনি যে পদক্ষেপ করেছেন, তা সিপিএম ও বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না। নেত্রীর সেই অবদান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে। শনিবার মেদিনীপুর টাউনের জেলা পরিষদ হলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ সেই পরামর্শ দিলেন সিপিএম ও বিজেপিকে।

ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কর্মসূচি বেশি করে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেই শপথ নিতেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যেতে হবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। তাঁর সংযোজন, দলের নীতি প্রস্তুত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা ছাত্রসমাজের কাছে নিয়ে যেতে পারেন আপনারাই।

কুনাল আরও বলেন, সিপিএম ভুল সংশোধন করেনি, শুধু মতাদর্শের প্রচার করে গিয়েছে। তাই শূন্য হয়ে গিয়েছে। তোমরা কীসের বামপন্থী? বামপন্থী বলতে যদি বোঝাতে চাও গরিবের জন্য লড়াই, তবে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতবর্ষের সবথেকে বড় কমিউনিস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের সাথে থাকেন। এদিন তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষেদের ইতিহাস তুলে ধরেন। তুলে ধরেন ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের কথা। তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা। আন্দোলন করে আজকের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার কথা। বলেন, তিনি জানতেন ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার কথা। তাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েই তিনি ছাত্র সমাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এ-প্রসঙ্গেই বামফ্রন্ট সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দিল বামফ্রন্ট সরকার। কম্পিউটার ঢুকতে দিল না। সর্বনাশ করে দিল রাজ্যের। সারা ভারতবর্ষ এগিয়ে গেল, পিছিয়ে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ। কয়েকটা প্রজন্মকে পিছিয়ে দিয়ে গেল বামফ্রন্ট সরকার। তখন একমাত্র আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম আজ বড় বড় কথা বলে, এদের কাউন্টার করতে হবে। রাজপথে নয়, ধর্মতলার মঞ্চে নয়। কলেজের কমন রুমে, ক্যান্টিনে কাউন্টার করতে হবে এসএফআই তথা সিপিএমকে।

বুদ্ধবাবুর জমানায় আমাদের আন্দোলন ছিল তাঁর জমি নীতি, তাঁর পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। বুদ্ধবাবুকে সম্মান জানিয়েই বলছি, তাঁর জমানা থেকে কোনও শিক্ষা নেওয়ার নেই, শিক্ষা নিতে হবে পতন থেকে। আজ বিধানসভায় শূন্য হয়েছে সিপিএম, ২৩৫-এর ঔদ্ধত্যের এটাই পরিণাম। সিপিএম ভুল সংশোধন করেনি। একই লোক একই ভুল করছেন, তাই তারা শূন্য হয়েছে। আমাদের দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলছেন। মাথার উপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ, অভিষেক সেনাপতি। গোটা তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার।

আরও পড়ুন- দুর্নীতি রোধে বড় সিদ্ধান্ত: ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের