আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে সহমর্মী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ আমার সমর্থন আছে কিন্তু তারপরেও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিরোধীরা বাম-বিজেপি দুই পক্ষই বারবার আর জি করের গেটে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা করে কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মাথা ঠান্ডা রেখে দুপক্ষকে বুঝিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখেন পুলিশ আধিকারিকরা। একই সঙ্গে আরজিকরের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই তাঁদের আন্দোলনে কোনওরকম রাজনৈতিক রং লাগাতে দিতে চান না।
ঢাল হয়ে দাঁড়ান পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। প্রবল চাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। এর পরেই SFI, DYFI-এর সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপক ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পুলিশের (Kolkata Police) সঙ্গে তীব্র বচসা, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এসএফআইয়ের সদস্যরা। তুমুল বিক্ষোভ চলে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের গেটের সামনে। পুলিশের উপর আক্রমণ এবং পুলিশদের গায়ে হাত তোলার জন্য তিনজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আরজিকর ছাত্ররা দাবি করেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক রং চান না। তাঁদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্যে, গো ব্যাক এসএফআই স্লোগান তোলেন।
পরে ঘটনাস্থলে যান CPIM-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি রাজনৈতিক পতাকা নিয়ে আন্দোলনের দাবি জানান। পরে যান কংগ্রেস ছেড়ে BJP-তে যাওয়া কৌস্তভ বাগচিও। তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে বচনায় জড়ান তিনি।
আর এই সবের মাঝখানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কলকাতা পুলিশ। কখনও বিক্ষোভকারী দুপক্ষকে বুঝিয়ে, কখনও বা পুশ ব্যাক করে নরমে-গরমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন পুলিশ আধিকারিক-সহ কর্মীরা। ফলে বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে, দীর্ঘক্ষণ শ্যামবাজার চত্বর কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে। এদিন হাসপাতালের ভিতরে মিছিল করেন আর জি করের চিকিৎসকরাও।