সাম্প্রতিক হিনডেনবার্গের রিপোর্ট ফের আদানি-সেবির যোগসাজশের সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে। সেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলেও দেড় বছর পরেও রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি সেবি। সেই তদন্ত সম্পূর্ণ করার দাবিতে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এক ব্যক্তি। মামলা গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার হিনডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার বাজারে গরমিল করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপরই সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সেবি। গত বছর জুনে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, তিন মাসের মধ্যে এই তদন্ত সম্পূর্ণ করতে পারলে ভালো হয়। সেই পর্যবেক্ষণের পরে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সেবি-কে এই তদন্ত সম্পূর্ণ করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে এই মামলায় সিটি গঠন বা সিবিআই-এর হাতে মামলা তুলে দেওয়ারও আবেদন করা হয়। কিন্তু মামলা গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার।
এবার হিনডেনবার্গের নতুন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে নাম জড়িয়েছে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বাচের নামও। সরব হয়েছে বিরোধীরা। সেবি আজও আদানি গোষ্ঠীর তদন্তের কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেনি। এবার সেই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মামলাকারী বিশাল তেওয়ারি। গতবার তাঁর মামলা গ্রহণ না করা হলেও, এবার তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট তিনমাসে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে না দিলেও সময়সীমা সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখ করেছিল। সেক্ষেত্রে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির দাবি আদালতে পেশ যুক্তিসঙ্গত।