“ আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু।” মঙ্গলবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বুধবারের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা জানালেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। আর জি কর (RG Kar)-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার মহিলারা ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি নিয়েছেন কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়। আর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সুখেন্দু।

Tomorrow I am going to join the protesters particularly because I’ve a daughter and little granddaughter like millions of Bengali families. We must rise to the occasion. Enough of cruelty against women. Let’s resist together. Come what may.
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) August 13, 2024
তৃণমূল সাংসদ আরও লেখেন, আমাদের এ বিষয়ে সরব হতে হবে। মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। এবার সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাই হোক না কেন। তবে সুখেন্দুর পোস্টেই রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে একজন বাবা এবং দাদুর পরিচয়ই গুরুত্ব পেয়েছে।
‘রাত দখল করুক মেয়েরা’- এই দাবি নিয়ে ১৪ অগাস্ট, বুধবার মধ্যরাতে রাজপথে আন্দোলনে নামছেন বাংলার নারীরা। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস-ধর্ষণ খুনে উত্তাল রাজ্য তথা দেশ। প্রতিবাদ- আন্দোলনে সামিল শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরাই নন, সমাজের সব মহল। অরাজনৈতিকভাবে একটি সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। যেখানে দাবি উঠছে নারী নিরাপত্তার। ১৪ অগাস্ট রাত ১২টার আগে মহানগর থেকে জেলায় মেয়েদের জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১৪ তারিখ রাত ১১.৪৫ থেকে প্রধানত কলকাতার ৩টি জায়গা- যাদবপুর, অ্যাকাডেমি ও কলেজ স্ট্রিটে হবে জমায়েত। তবে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ডাক। ডানলপ, বনগাঁ, অশোকনগর, ইংলিশ বাজার মালদহ, বারাসাত স্টেশন, হাবরা, আরামবাগ, রায়গঞ্জেও এই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ঋতাভরী চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, মধুমিতা সরকার- সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টার শেয়ার করেন। তবে শুধু বিশিষ্টরাই নন, এই ডাক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। যাঁরা কলকাতায় আসতে পারবেন না, আঞ্চলিকভাবে জমায়েতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আন্দোলনের মূল দাবি, আর জি করের নির্যাতিতার সুবিচার ও নারী নিরাপত্তা।
