আরজি করে হামলায় ‘সেমিনার রুম’ অক্ষত, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট কলকাতা পুলিশের

স্বাধীনতার মধ্যরাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হামলায় আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) জরুরি বিভাগ যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু চারতলায় ‘সেমিনার রুম’ অক্ষত রয়েছে বলেই জানালো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই অতর্কিতে চালানো হামলায় আক্রান্ত পুলিশ। ভেঙে ফেলা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের(PGT ) আন্দোলনের মঞ্চও। এরপর চারিদিকে ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে যে আরজি করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাতেই হামলা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর (CBI) তরফেও কলকাতা পুলিশকে প্রশ্ন করে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ‘ভাঙচুরের’ দাবি এবং ভিডিয়ো সম্বলিত একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘অপরাধ সেমিনার রুমে হয়েছিল। আর সেই সেমিনার রুমকে ছোঁয়া পর্যন্ত হয়নি। যাচাই না করা খবর ছড়াবেন না। আমরা গুজব ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করছি।’

বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই খবরে শিরোনামে চলে আসে আর জি কর হাসপাতাল। উন্মত্ত  দুষ্কৃতী দল আচমকাই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালায় লেঠেলবাহিনী। রক্তাক্ত হতে হয় পুলিশকেও। জরুরি বিভাগের আসবাবপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মেডিসিন নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হামলার ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান সিপি বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)। ক্ষুব্ধ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে, তা ভুল প্রচারের জন্য।” বুধবার মধ্যরাত থেকেই নেটাগরিকদের একাংশ ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করতে থাকেন, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, সেই সেমিনার রুমে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। এদিন পুলিশের তরফে এই সংক্রান্ত দুটি পোস্ট করা হয়। একটিতে আক্রান্ত পুলিশদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার জনের বাহিনী হামলা করেছিল। ঘটনার কথা উল্লেখ করে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে।

অন্য পোস্টে সকলের সামনে সত্যি তুলে ধরার পাশাপাশি যাঁরা এই ধরনের বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক ভিডিও/বার্তা ছড়াচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে।