‘বিকশিত ভারতে’র নামে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আত্মপ্রচার প্রধানমন্ত্রীর 

৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে (78th Indepence Day) দেশ জুড়ে শুধুই তেরঙ্গার আবেগ। দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে প্রতিশ্রুতি পূরণের আত্মপ্রচার সারলেন তিনি। ভাষণে কখনও উঠে এলো সংবিধান বদলের প্রসঙ্গ, আবার কখনও NRC, ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট ইস্যু।স্বাধীনতার ১০০ বছর নিয়ে দেশবাসীর স্বপ্নের উল্লেখ করে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের পরামর্শের কথা জানান মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অবদানের কথা।

স্বাধীনতার দিবসের সকালে সমাজ মাধ্যমে সকলকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এরপর রাজঘাট থেকে লালকেল্লায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্যারেড করে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। লালকেল্লায় উপস্থিত হন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদব, স্পিকার ওম বিড়লা-সহ সদস্যরা।

এদিন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ জুড়ে ব্যাংকিং পরিষেবার উন্নতির কথা বলেন তিনি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশীয় স্বার্থের জন্য কেন্দ্র সরকার কাজ করছে বলেও ভাষণ দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা, আজ দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন সমর্পণ করা, ফাঁসিতে চড়েও ভারত মাতার জয় বলা বীর শহিদদের স্মরণ করার দিন আজ। স্বাধীনতার এই পর্বে পৌঁছতে পেরে আমরা সৌভাগ্যবান। সকল মহাপুরুষকে শ্রদ্ধা জানাই। আজ রাষ্ট্র নির্মাণ ও রক্ষার জন্য যে ভাবনা নিয়ে এগোনো হচ্ছে, তাতে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা সে কৃষক হোক, যুব, মহিলা বা দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি হোক-সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা চলছে।বিগত কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আমাদের চিন্তা বাড়ছে।’ এদিকের ভাষণে গত এক দশমীর রেল থেকে রাস্তা পরিকাঠামোর উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি পূর্ব ভারতের দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মোদি। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন “৪০ কোটি মানুষ দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। লড়াই করে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আর ১৪০ কোটি ভারতীয় যদি শপথ নেন, তাহলে লড়াই করে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। ২০৪৭ -এর মধ্যে বিকশিত ভারত বানাতে পারবেন।” এদিনের বক্তব্যে বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়েও ভারতের অবস্থানের কথা জানান মোদি।