সেবির শীর্ষ পদে থেকেও সাড়ে ৩ কোটি বেআইনি রোজগার! মাধবী বুচের পর্দাফাঁস

সিঙ্গাপুরের আগোরা পার্টনার্স ও ভারতের আগোরা অ্যাডভাইসারি-র ৯৯ শতাংশ অংশীদার ছিলেন তাঁরা। রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের তথ্য অনুসারে সেখান থেকে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা প্রায় রোজগার

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সেবির প্রাক্তন প্রধান মাধবী পুরি বুচের পক্ষে সওয়াল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা। তবে তাতে আদতে কোনওভাবেই ঢাকা সম্ভব হচ্ছে না মাধবী বুচের কুকীর্তি। একদিক ঢাকতে গিয়ে আরেক দিক বেরিয়ে আসার মতো এবার সামনে এল সেবির চেয়ারম্যান মাধবী পুরি বুচের বেআইনি রোজগারের গোটা পরিসংখ্যান। সেবির শীর্ষপদে থেকেই এই বিপুল রোজগার করেছেন মাধবী ও তাঁর স্বামী।

সম্প্রতি একটি অন্তর্তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ২০১৭ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার সদস্য হন মাধবী বুচ। ২০২২ সালে তিনি চেয়ারম্যান পদে আসেন। সেই সময়কালের মধ্যেই তিনি ও তাঁর স্বামী সিঙ্গাপুরে ও ভারতে দুটি কনসাল্টেন্সি ফার্ম চালিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের আগোরা পার্টনার্স ও ভারতের আগোরা অ্যাডভাইসারি-র ৯৯ শতাংশ অংশীদার ছিলেন তাঁরা। রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের তথ্য অনুসারে সেখান থেকে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা প্রায় রোজগার করেছেন।

এই সংস্থাদুটির সঙ্গে তাঁরা আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। সেবি-র ২০০৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি কোনও লাভজনক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা বা তার থেকে বেতন সংগ্রহ করতে পারেন না। চাপের মুখে মাধবী বুচ দাবি করেন ২০২২ সালে এই সংস্থাদুটির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি তাঁর অংশীদারিত্ব হস্তান্তর করে দেন। যদিও বাস্তবে ২০২৪ সালেও তিনি এই সংস্থাদুটির অংশীদার পদেই রয়েছেন।

পরতে পরতে মিথ্যার সাজে যে চেয়ারম্যান পদকে বারবার সাজিয়েছেন মাধবী বুচ, তারই প্রমাণ তাঁর বেআইনিভাবে রোজগার। সেক্ষেত্রে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে শেয়ার বাজারে আদানিকে লাভ পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে চাল মাধবী বুচ চেলেছিলেন, তার পর্দাফাঁস হওয়ার পরে কার্যত কোনঠাঁসা মাধবী অবশ্য এখনও তাঁর বেআইনি রোজগার নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও দেননি।