না জানিয়েই সিদ্ধান্ত! স্বাস্থ্য দফতরের বদলির নির্দেশিকা স্থগিত মুখ্যমন্ত্রীর

হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠতে থাকে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁদের বদলি

শুক্রবার জারি হল বদলির নির্দেশিকা। শনিবারই তা বাতিল করতে বাধ্য হল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৪৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলির নির্দেশিকা জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বাতিল করতে হল। আর জি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য প্রশাসনের যে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ছে বিরোধীরা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। সেই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের বদলির সিদ্ধান্ত কখনই অনুমোদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে বদলির প্রয়োজন ছিল। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস যেমন জানিয়েছেন, সেখানে বিভিন্ন বিভাগে ডাক্তারের সংখ্যার স্বল্পতা ছিল। সেখানেও ডাক্তার চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। অধ্যক্ষ জানান, বদলির প্রক্রিয়া রুটিনমাফিক ছিল। অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলিকে মাথায় রেখে রুটিন বদলির প্রক্রিয়া শুক্রবার শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর। জারি হয় ৪৩ জনের বদলির নির্দেশিকা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই রুটিন প্রক্রিয়াকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠতে থাকে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মাঠে নামে বিজেপি। কোনও ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া যাতে না তৈরি হয় তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের ও হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রয়োজন থাকলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও বদলির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

Previous article“like Indira Gandhi“:এবার টার্গেট মমতা, প্রাণনাশের হুমকি?
Next articleতৃণমূল করার অপরাধ! নন্দীগ্রামে মহিলাকে বিবস্ত্র করে দৌড় করাল বিজেপি