মুখে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ তারিখ রাতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। ‘রাত দখল’-এর ডাকে তাঁদের সঙ্গ দিয়েছিলেন প্রচুর পুরুষও। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই বাগুইআটির রাস্তা তখন নারীবাহিনীর দখলে। আর তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। আচমকাই দূর থেকে উড়ে আসা ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। মারাত্মকভাবে জখম ওই মহিলা কনস্টেবলের রক্তাক্ত ছবি শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে রাজ্য পুলিশ। সেখান থেকেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষে শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না? রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবীতে রাস্তা দখলের রাত। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী। যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তায়, যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ অগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে। রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় জমায়েতের মধ্য থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসে বেশ কিছু ইট, যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার মুখে। সঙ্গের ছবিটি শম্পার। ঘটনার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা, শাস্তি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করব, এসব নেহাতই পারিপার্শ্বিক তথ্য এ ক্ষেত্রে। মূল প্রশ্নটা অন্য। রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’


এদিকে ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মাঝেই রীতিমতো তাণ্ডব হয় আর জি কর হাসপাতালে। ভাঙচুর চালিয়ে জরুরি বিভাগ লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় যুক্ত তাদের চিহ্নিত করতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা ২৫ জন।

আরও পড়ুন- বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের সাহস নেই মমতা ছাড়া কোনও বিরোধীর নেই: সুব্রহ্মণ্যম স্বামী

