পাটনায় বনধ সমর্থক আদিবাসীদের উপর পুলিশের লাঠি, প্রভাব উত্তর ভারতে

বিক্ষোভকারীরা দ্বারভাঙা ও আরাতে আটকে দেন ট্রেন। জাহানাবাদ, সহরসা ও পূর্ণিয়া জেলায় বহু জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে

সংরক্ষণের দাবিতে বনধ ডাকা অদিবাসীদের উপর নীতীশের পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ। বিহারের রাজধানী শহরকে বনধ-মুক্ত করতে নির্বিচারে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের উপর লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করল ডবল ইঞ্জিন সরকারে পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে আদিবাসীদের ডাকা ভারত বনধে মিশ্রপ্রভাব দেশের উত্তরের রাজ্যগুলিতে।

১৪ ঘণ্টার ভারত বনধের বিরাট প্রভাব পড়ল বিহারে। কেন্দ্রের কাছে তাদের দাবি, আদিবাসী জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণে তাঁরা হাত দিতে দেবেন না। কেন্দ্রকেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বদলানোর জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা দ্বারভাঙা ও আরাতে আটকে দেন ট্রেন। জাহানাবাদ, সহরসা ও পূর্ণিয়া জেলায় বহু জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। বেলা বাড়তেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পাটনা শহর।

বিহার ছাড়াও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই বনধের প্রভাব পড়েছে। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম সেনা-সহ একাধিক দল। বনধের জেরে রাজস্থানের জয়পুর, ভরতপুর, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। একাধিক শহরে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতায় ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থা (এনএসিডিএওআর) বুধবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল। আদালত একটি মামলার রায়ে জানিয়েছিল, তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে যাঁরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল তাঁদের সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়া হোক। পরিবর্তে এই সংশ্লিষ্ট সমাজের আর্থিক সারিতে যাঁরা একেবারে পিছনে রয়েছেন, সেই অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হোক। এনএসিডিএওআর-র দাবি, দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে এই রায় প্রত্যাহার করতে হবে।