ফ্লপ লালবাজার অভিযান! অশান্তির দায়ে আটক কংগ্রেসের মান্নান-প্রদীপরা     

বাংলার রাজনীতিতে লাস্ট বয়! সময় যত গড়িয়েছে রাজনীতি থেকে রীতিমতো বেড়েছে দূরত্ব। আর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে উধাও হয়ে গেলেও আর জি কর কাণ্ড (R G Kar Case) নিয়ে রাজনীতিতে (Politics) ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা কংগ্রেসের (Congress)। তার জন্য কোনও কসরতের খামতি দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের। দিনকয়েক আগেই শহরের রাজপথে নেমে উলঙ্গ হয়ে প্রতিবাদে সামিল হন হাত শিবিরের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দিনের শেষে জোর করে অশান্তির চেষ্টা করলেও পুলিশি হস্তক্ষেপে রীতিমতো প্ল্যান বানচাল হয়ে যায় কংগ্রেসের। তবে আর জি করের ঘটনায় কংগ্রেসের কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যেখানে ইতিমধ্যে মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই, সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত বিচার শেষের কথা না বলে উল্টে লালবাজার (Lalbazar) অভিযানের ডাক দিয়ে ফের কলকাতাকে অশান্ত করার চেষ্টা কংগ্রেসের। তবে এদিনের কংগ্রেসের লালবাজার অভিযানের পাল্টা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নানকে দেখলাম উনি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছেন। খুব ঠাণ্ডা মাথায় উনি পুলিশের ভ্যানে উঠলেন। পুলিশ তাঁকে অত্যন্ত যত্ন করে তুলেছে। পুলিশও তাঁদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে। ঠিকমতো সহযোগিতা করেছে।

বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। কিন্তু মিছিল লালবাজারের দিকে এগোতেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই নিজেদের গায়ের জোরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই বাধে বিপত্তি। কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। রীতিমতো হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, মিতা চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, রোহন মিত্র-সহ আরও অনেককে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এলেও কিছুক্ষণের মধ্যে নতুন করে শহরকে অচল করার চেষ্টায় ফের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের তরফে বারবার অনুরোধ করা হলেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি হাত শিবির।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস নেতা কর্মীরা আদপে বুঝতে চাইছে না বা বুঝতে পারছেন না যে বিষয়টি এখন সিবিআইয়ের হাতে। উল্টে সিজিও কমপ্লেক্স বা দিল্লিতে সদর দফতর ঘেরাও না করে লালবাজার অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Previous articleডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল-ফাইনাল যুবভারতীতেই!অনুমতি পুলিশের, খুশি ফুটবলপ্রেমীরা
Next articleদুই আরপিএফ জওয়ানকে চলন্ত ট্রেনে খু.ন করে ছু.ড়ে ফেলা হল দে.হ!