আর জি করের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহ প্রথম কে দেখেছিলেন? নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে প্রথম খবর কে দিয়েছিলেন? আর জি কর কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের এটাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই ব্যক্তিই এখনও সিবিআই (CBI) তদন্তকারীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে!

হাইকোর্টের নির্দেশে আর জি করের ধর্ষণ-খুনের তদন্ত হাতে নেওয়ার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও এই ব্যক্তিকে খোঁজ পায়নি সিবিআই (CBI)। তবে ওই বিল্ডিংয়েরই কেউ যে এই কাজটি করেছিলেন, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। কিন্তু তিনি কে? অন্ধকারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেও সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে আসেনি তদন্তকারী অফিসারদের। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা মায়ের দাবি, মেয়ের মৃত্যু সংবাদ হাসপাতাল থেকে যিনি দিয়েছিলেন, তিনি মোবাইল থেকেই ফোন করেছিলাম। সেক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর ধরে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা একেবারেই কঠিন বিষয় নয়, কিন্তু এখনও কেন সেটা সামনে আসছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে আর জি কর কাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে ক্রাইম সিনে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ এখনও করা যায়নি। এখানেই শেষ নয়, লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার সম্মতির জন্য মঙ্গলবারই ধৃতকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেটাও পিছিয়ে দিয়েছে তারা। কবে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটাও নিশ্চিত করা হয়নি।

আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তড়িঘড়ি সিবিআইয়ের কাঁধে চাপানোর পরও ন্যায়বিচার চেয়ে আন্দোলন থামেনি। ফলে দ্রুত বিচারের জন্য চাপ বাড়ছে সিবিআইয়ের উপর। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত সম্পর্কিত তথ্য বৃহস্পতিবারের আদালতে পেশ করার জন্য।


আরও পড়ুন: বিচার চাই! CGO কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য ভবনে আজ জুনিয়র ডাক্তাররা
