আর জি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে মিশেছে রাজনীতির রং। প্রতিবাদ এখন বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে। সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে দলীয় রাজনীতির কুটিল অঙ্কে অভিমুখ বদলানোর খেলা শুরু করেছে রাম-বাম। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের নাম দিয়ে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ওই ‘নবান্ন চলো অভিযান’ নিয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য।
বাম-রামের যৌথ ষড়যন্ত্রের ‘অশান্তি অভিযান’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে ২৭ তারিখ- অভিযোগ শাসকদলের। অনেকটা যুবভারতীর সামনে যেমন করে রাজনৈতিক স্লোগান তোলা হয়েছিল ক্লাবের জার্সি গায়ে ক্লাবের আবেগকে সামনে রেখে। ছাত্র অভিযানের এই ডাকে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের গভীর ষড়যন্ত্রের উদাহরণ। কোথাও বলা হচ্ছে বোমা-অস্ত্র নিয়ে যেতে হবে, মশলা নিয়ে যেতে হবে- আগুন জ্বালানোর কাজে আসতে পারে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের বিচার পেতে হলে তার দাবি ন্যায়সঙ্গতভাবেই করা উচিত শীর্ষ আদালত বা সিবিআইয়ের কাছে। তবে নবান্ন অভিযানের ডাক কেন? মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি কেন? এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ”যদি বলো Justice for RG Kor, তোমার আমার একই স্বর। যদি বলো Resign Mamata, বুঝে নেবে জনতা। ন্যায়বিচার না ইস্তফা, কোনটা দাবি? ন্যায়বিচার হলে সবাই আছি। ইস্তফার রাজনীতি হলে, ময়দানে দেখা হবে।” এর পরেই এই অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ করে কুণাল লেখেন, ”বিজেপি, আরএসএসের নেতৃত্বে সিপিএম, ডিওয়াই এফ, এসএফআই, কংগ্রেস বকলমে নবান্নের দিকে যাবে? কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া যাদের জমানায়, তারা প্ররোচনা দিচ্ছে রাজনৈতিক গোলমালের। গুলির কথাও বলছে। শকুনের রাজনীতির চক্রান্ত। মানুষ ন্যায়বিচার চান, কুরাজনীতি নয়।”