এখনও ত.দন্তের কোনও কিনারা সিবিআই করতে পারল না কেন?  খোঁচা কুণালের

এটা কোন ধরনের তদন্ত হচ্ছে? অভিযুক্তকে সিবিআই হেফাজত থেকে ছেড়ে জেল হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে!

মুখ্যমন্ত্রী তো সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন, তদন্তটা চলছিল।সেই সময়ের মধ্যে না হলে সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দেবেন বলেছিলেন। এখন তো মাঝপথে সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে। এতদিন ধরে কী করছে সিবিআই? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, একজন গ্রেফতার হয়েছে, তাও তাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই এমন কিছু বলতে পারেনি, যাতে মনে হয় তদন্তটার কিনারা হবে।

এদিন কুণাল বলেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে আজ আদালতে পেশ করা হয়।আমরা আশা করেছিলাম সিবিআই আদালতে স্পষ্ট জানাবে যে ধৃতই খুনি এবং তার সঙ্গে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তার জন্য আরও তদন্তের আর্জি জানানো হবে। আজকে তাকে আদালতে তোলার সময় সিবিআই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি যে সেই খুনি, একমাত্র খুনি নাকি সঙ্গে আরও কেউ আছে। তদন্তের কিনারা এক বর্ণ সিবিআই আদালতে দিতে পারেনি। আর এই বিলম্বের কারণে বিচার পেতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন খবর ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভুয়ো খবর, রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সিবিআইয়ের বিলম্বের কারণে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে, মানুষের কাছে একটা অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি হচ্ছে। মনে রাখতে হবে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সিবিআই আজকে  নিজেদের হেফাজতে চায়নি। যার অর্থ সিবিআইয়ের কাছ থেকে এই স্টেজে পাওয়ার কিছু নেই। এটা কোন ধরনের তদন্ত হচ্ছে? অভিযুক্তকে সিবিআই হেফাজত থেকে ছেড়ে জেল হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে!

কুণালের কটাক্ষ, আজ আদালতে সিবিআই খালি হাতে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ বিচার চান, রাজ্য সরকার বিচার চায়, মুখ্যমন্ত্রী চান। অথচ কারোকে কোনও সদূর সিবিআই দিতে পারল না। এখনও পর্যন্ত যে চিকিৎসকরা কাজে যোগদান করেননি সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তাদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিতে বলেছেন।অনুরোধ, ডাক্তারবাবুরা এমন কিছু করবেন না যাতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করা হয়।মনে রাখবেন, সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ আসে চিকিৎসার জন্য। তাদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে প্রচুর অর্থ খরচ করে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। মনে রাখবেন, তদন্ত করছে সিবিআই। মামলা সুপ্রিম কোর্টে। এরপরও  কর্মবিরতিতে আপনারা কার কাছে বিচার চাইছেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং আনুষঙ্গিক বিষয় দেশের সমস্যা, শুধুমাত্র বাংলার নয়, স্পষ্ট বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। লক্ষ লক্ষ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে কোন লাভ হচ্ছে? কারা চাইছেন? কিসের জন্য চাইছেন? নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য আছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে কর্মবিরতি উঠে গিয়েছে। তাহলে আমাদের এখানে কেন উঠবে না।

স্বাস্থ্য ভবনে সন্দীপ ঘোষ কে পোস্টিংই দেওয়া হয়নি অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব হচ্ছে এই নিয়ে। কারা করছে? এগুলো কেন করা হচ্ছে? তিলোত্তমার বিচার আমরা সবাই চাই। মুখ্যমন্ত্রীও চান। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে শকুনের রাজনীতি করার অর্থ কী? টাইমলাইন নিয়ে মিথ্যাচার, অডিও নিয়ে মিথ্যাচার, ওএসডি সন্দীপ ঘোষ মিথ্যাচার। মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বিষয়টাতে। সেখানে এই মিথ্যাচার করে মানুষকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।