বড়সড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police)। ১০ দিনের মধ্যেই বর্ধমানের (Burdwan) আদিবাসী তরুণী খুনের ঘটনার কিনারা করল ৯ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT)। শুক্রবার রাতে নিহত প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অজয় টুডুকে (২৮) গ্রেফতার করে সিট। ধৃতকে শনিবার আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ সিং জানিয়েছেন, ধৃত পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার কাকরাপুঞ্জি গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হাউর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিট। রাতেই তাকে বর্ধমানে আনা হয়েছে। ১৪ আগস্ট বাড়ির পিছনের মাঠ থেকে বর্ধমানের নান্দুর ঝাপানতলা এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার দু’দিন আগে বেঙ্গালুরু থেকে বেসরকারি সংস্থায় চাকরির প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তরুণী। ঘটনার দিন রাতে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। শৌচালয়ে যাবেন বলে ঘর থেকে বেরলেও ফেরেননি তিনি। কিছুক্ষণ পরে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।

এদিকে ঘটনার পরই সিট গঠন করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে ওই তরুণীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অজয়ের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কাকে খুনের পর আততায়ী ধারাল অস্ত্র ও তরুণীর মোবাইলটি নিয়ে চম্পট দেয়। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে ও আরও বেশ কিছু তথ্যের ভিত্তিতে আততায়ীকে চিহ্নিত করে। পুলিশ জানতে পারে কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পরিচয় হয় অজয়ের। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। এদিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তরুণীর বাবা সুকান্ত হাঁসদা। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সিটের জালে অভিযুক্ত।
