নবান্ন অভিযান আদৌ কোনও ছাত্র সংগঠনের নয়। ছক কষা হচ্ছে অশান্তির। গণ্ডগোল পাকাতে চাইছে দুষ্কৃতীরা। এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক পরিকল্পনা, দাবি এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মার। নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে মঙ্গলবারের কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ বেআইনি দাবি রাজ্য পুলিশের।

নবান্ন অভিযানের আগেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের দাবি, এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে কোনও সংগঠনের অস্তিত্ব ছিল না। আন্দোলনকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলা হলেও রবিবার একটি পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনের আহ্বায়ক। সেই সঙ্গে পুলিশের দাবি, ২৭ অগাস্ট ইউজিসি নেট পরীক্ষা। ছাত্রদের আন্দোলন এমন দিনে কেন হবে যা ছাত্রস্বার্থ বিরোধী। এখান থেকেই স্পষ্ট এটা ছাত্র আন্দোলন নয়।

আর জি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে এডিজি দক্ষিণ বঙ্গ স্পষ্ট করে দেন, রাজ্যের যে কোনও বেআইনি আন্দোলন প্রতিরোধের এক্তিয়ার রয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ সেভাবেই বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত থাকবে বলে জানান পুলিশ কর্তারা।

এডিজি (দক্ষিণ বঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার দাবি করেন পুলিশের কাছে জোরালো ও নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে মিছিলের সামনের দিকে ছাত্র-ছাত্রী ও মহিলাদের রাখা হবে। তবে পেছনের দিকে দুষ্কৃতীরা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে। চক্রান্ত থাকবে বিশৃঙ্খলা তৈরির।

২৭ অগাস্ট ছাত্র সমাজের পাশাপাশি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। তাঁদেরকেও জানানো হয়েছে, পুলিশি অনুমোদন ছাড়া এই ধরণের কর্মসূচি বেআইনি। তবে অনুমতি নিয়ে হাই সিকিউরিটি জোন ছাড়া অন্যত্র আন্দোলন করলে পুলিশ সহায়তা করবে।