আর জি করে ধর্ষণ-খুনের অভিশপ্ত রাতে অন্য এক মহিলাও শ্লীলতাহানি করে ধৃত সঞ্জয়

আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কালপ্রিট সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। যে সামান্য কয়েকদিন পুলিশ তাকে জেরা করার সুযোগ পেয়েছিল, সেখানেই সঞ্জয় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল। পরে সিবিআইয়ের কাছেও নিজের অপরাধ স্বীকার করে ধৃত সঞ্জয়। তারই মধ্যে কুলাঙ্গার সঞ্জয়ের একের পর এক কুকীর্তি সামনে আসে। একাধিক বিয়ে থেকে চেনা অচেনা মহিলাদের উত্যক্ত করা থেকে ঘটনার সেই অভিশপ্ত রাতে সে ঠিক কী কী করেছিল, কোথায় কোথায় গেছিল? গভীরে যেতেই উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আর জি করে (RG Kar Hospital) ঘটনার দিন রাত ১১.৩০মিনিট নাগাদ সোনাগাছি যায় সঞ্জয়। সোনাগাছিতে গিয়ে বচসা হয়, সেখানে কোনওরকম যৌন সম্পর্ক করতে পারেনি। সঞ্জয় ও তার এক সঙ্গী এরপর চলে যায় চেতলায় পতিতাপল্লিতে। চেতলায় সঞ্জয়ের সেই সঙ্গী একজনের সঙ্গে যৌন মিলন করলেও, সঞ্জয় করেনি। সে বাইরে অন্য এক মহিলাকে ভিডিও কল করে নগ্ন ছবি চায়। জানা যায়, এই চেতলায় যাওয়ার পথেই আরও এক জনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সে।

রাস্তাতেই এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করে। এরপরেই রাস্তায় ফের মদ খেয়ে রওনা দেয় আর জি করের দিকে। এরপর ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সেই রাতের ভিডিও সামনে আসতেই হাড়হিম হয়ে গিয়েছে সকলের! সেই ফুটেছে দেখাচ্ছে সঞ্জয়ের সেই রাতের গতিবিধি। সে গলায় নেকব্যান্ড ঝুলিয়ে হাতে হেলমেট নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আর যে করিডর ধরে সঞ্জয় হাঁটছে তার অন্তিম প্রান্তেই রয়েছে সেমিনার হল।

অন্য একটি সূত্র বলছে, ৮ অগাস্ট বেলা ১১টার সময় চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডে ছিল সঞ্জয়। সেই সময় নির্যাতিতা চিকিত্‍সক ও ৪ জুনিয়র ডাক্তারও ওই ওয়ার্ডে ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, সেই সময় নাকি নির্যাতিতার দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।

আরও পড়ুন: নিজেদের প্রয়োজনে ওকে হাতিয়ার করবেন না, আবেদন নির্যাতিতার বাবার

 

Previous articleপ্রয়াত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ এরিকসন
Next articleপ্রশ্নের জবাবে তর্ক, খুলে গেল ‘ছাত্র সমাজের’ মুখোশ