অশান্তি করে নিজেরাই বনধের ডাকল বিজেপি! “ব্যর্থ করুন”-বিরোধিতা করে বার্তা কুণালের

আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College And Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে ছাত্র সমাজের নবান্ন (Nabanna) অভিযানের নামে হামলা বিজেপির (BJP)। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, লাঠি। সরাসরি এই অশান্তিতে মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। অত্যন্ত সংযম দেখিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। এর জেরে আবার বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এর তীব্র বিরোধিতা করছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে কুণালের আবেদন, এই বনধে ডাক বর্জন করুন। তাঁর কথায় ২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বন্ধ হবে না। বিজেপি বিচারের দাবি ভুলে গিয়েছে, এখন গদি চাই – কটাক্ষ কুণালের।মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের নামে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আন্দোলনকারীদের প্রথম বুঝিয়ে, আবেদন করে নিরস্ত করতে চান পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথম দিক কার্যত পুলিশ কোনও বাধাই দেয়নি। কিন্তু তার পরেই হিংসাত্মক চেহারা নেয় আন্দোলন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটি, পাথর, লাঠি, বোতল ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন একাধিক পুলিশ কর্মী-আধিকারিক। এর পরেই প্রতিহত করতে নামে পুলিশ। লাঠি চালায়, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এতেই ঘোঁষা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বাংলা বন্‌‌ধের কথা ঘোষণা করন তিনি। জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে ‘সাধারণ ধর্মঘট’।

এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল। পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এখন জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা করেছে। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। একটা বড় প্লট। পুলিশ সমস্ত আক্রমণের মুখে পড়ে, রক্তাক্ত হয়েও, গোটা পুলিশবাহিনী সংযমের পরিচয় দিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যা করার তাই করেছে।” বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় তাঁর বার্তা, “আগামিকাল কোনও বন্‌ধ হবে না। মানুষ বাংলা বন্‌ধের ডাক ব্যর্থ করুন। চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলে ধর্মঘটের ডাক। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।” কুণালের কথায়, অরাজকতা তৈরি করছে বিজেপি। অনেক বড় প্লট হয়েছে- এতে পা দেবেন না। সাধারণ মানুষের আবেগকে আমরা সম্মান দিই। কিন্তু আবেগকে কাজ লাগিয়ে লোক খেপিয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি তৈরির ছক হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নবান্ন অভিযানের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবার ‘রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দেন। পাল্টা কুণালের অভিযোগ, অকারণে প্ররোচনা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছু জমায়েত হয়েছে। যা বিজেপির কর্মী-সমর্থন। চার-পাঁচজন আছে যারা ব্যারিকেড ধরে টানাটানি করছে। ছাত্ররা অশান্তি পাকানোর প্ররোচনা দিয়েছিল। সেই জন্যে ওদের আটক করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নিয়ে শুভেন্দু। কুণালের কথায়, ‘’বিজেপির মদতপুষ্ট অভিযান এটা। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা যথাযথ রেখেছে। সাঁতরাগাছিতে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে শুরু করেছে। পুলিশ ব্যারিকেড ওরা ভাঙছে। পুলিশ অ্যাকশন নেয়নি। এরা লাগাতার ভাঙার কাজ শুরু করেছে। আপনাদের লোক নেই, জন নেই। পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দেখবে নাকি। যখন গুন্ডা বিজেপির লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মেরেছে তখন পুলিশ কী করবে?’’






Previous articleব্রেন টিউমারে আক্রান্ত কেবিসি প্রতিযোগী, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন শাহেনশা
Next articleখু.নের মা.মলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটার শাকিবের পাশে দলের সতীর্থরা, দিলেন বার্তা