ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন তবে এবার কাজে ফিরুন, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক বিচারের দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ‘লাশের রাজনীতি’ করা বিজেপিকে তুলোধোনা করে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি তোলেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই এই দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের সময় শ্যামবাজার থেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মিছিল বের হয়। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “এবার দয়া করে কাজে ফিরুন আপনারা।”

চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর পর প্রায় ১৯ দিন কেটে গেছে, এখনও পর্যন্ত খুনের তদন্তের কোনও কিনারাই সম্ভব হয়নি। কলকাতা পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে। কিন্তু প্রায় দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তদন্ত করেও সিবিআই (CBI ) কোনও অ্যারেস্ট করে উঠতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, ১০ দিনের মধ্যে আর জি কর কাণ্ডে দোষীকে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশের কথাও জানান তিনি। কিন্তু এসবের মাঝেই বিজেপি যেভাবে শকুনের রাজনীতি করছে তার তীব্র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা দোষীদের শাস্তি চাই, ফাঁসি চাই। ওরা ডেডবডি চায়। আমরা বিচার চাই।”

মৃত ডাক্তারকে ‘বোন’ সম্বোধন করে এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের ধীরে ধীরে কাজে ফেরার আহ্বানও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বন্ধুর (আর জি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা) সঙ্গে অন্যের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সংগত। আর সেই কারণেই রাজ্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে, বাংলার গরিব মানুষ নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাঁরা তাকিয়ে থাকেন সরকারি হাসপাতালের পরিষেবার দিকে। রোগীদের স্বার্থে চিকিৎসকদের পরিষেবা স্বাভাবিক করতে অনুরোধ করেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।


Previous articleবাংলাদেশের কাছে ল.জ্জার হার, পাক বোর্ড কর্তাদের ধুয়ে দিলেন ইমরান
Next article“বেসরকারি হাসপাতালে লাগাতার কর্মবিরতি চালাতে পারতেন?”ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীর পরিজনরা