দেবাশিসের দৃষ্টি ফেরাতে সচেষ্ট প্রশাসন, দোষীদের চিহ্নিত করা শুরু

কর্ণিয়াতে (cornea) আঘাত রয়েছে, রেটিনাতে (retina) আঘাত রয়েছে। একটা ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি ফেরা নিয়ে এখনও কেউ সঠিক উত্তর

সরকারি দায়িত্ব নিয়ে শহরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে এখন চোখেই না দেখতে পাওয়ার মুখে কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশন সাইবার সেলের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী (sergeant Debasish Chakraborty)। মঙ্গলবারের মারাত্মক স্মৃতি কিছু মুছতে পারছেন না মন থেক। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বেডে বসে একরাশ হতাশা ঝরে পড়ছে বাম চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়া নিয়ে।

তাঁর ডিউটি পড়েছিল স্ট্র্যান্ড রোডে। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কথায় ইডেন গার্ডেনের (Eden Gardens) কাছ দিয়ে গাড়িতে সেদিকেই যাচ্ছিলেন তিনি ও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। হঠাৎই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ফেটে প্রথম পাথরটিই লাগে দেবাশিসের বাম চোখে। চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পুলিশকর্মীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে আসেন। ততক্ষণে অঝোরে রক্ত ঝরছে দেবাশিসের চোখ থেকে। সহকর্মীরা দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শঙ্কর নেত্রালয়ে।

গুরুতর আহত দেবাশিস জানান, তিনি বাম চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে কী হবে জানেন না। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হায়দরাবাদে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় (Indira Mukherjee, DC, Central) জানান, ওনার আঘাত গুরুতর। কর্ণিয়াতে (cornea) আঘাত রয়েছে, রেটিনাতে (retina) আঘাত রয়েছে। একটা ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি ফেরা নিয়ে এখনও কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। সেটা যতক্ষণ না পরিষ্কার হচ্ছে ততক্ষণ বলা যাচ্ছে না দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কিনা। এটা বুঝতেই সাত থেকে দশ দিন সময় লেগে যাবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে দেবাশিসের দৃষ্টি ফেরানোর সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে সেই দিকটাই দেখা হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনার পিছনে কারা দায়ী তা নিয়ে। কারা এই জঘন্য কাজ করল তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান ডিসি সেন্ট্রাল। তবে শুধু দেবাশিস নয়, তাঁর সঙ্গে আহত হয়েছিলেন সার্জেন্ট অতনু রায়চৌধুরী, ডেভিড টপনোয়, হোমগার্ড দেবাশিস কুণ্ডু। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কনস্টেবল নবকুমার মণ্ডল, সার্জেন্ট সৌরভ সাহা, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কনস্টেবল উজ্জ্বল দে সরকার এবং হোমগার্ড ও চালক দেবাশিস কুন্ডু।

Previous articleপেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ
Next articleবদলা নয়, ফোঁস করুন: TMCP-র নেতা-কর্মীদের কেন এই বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর!