ওড়িশার ননন্দকানন থেকে বাংলায় আনা হয়েছে একাধিক নতুন অতিথি। যা নিয়ে এখন সরগরম আলিপুর চিড়িয়াখানা। তাদের মধ্যে থেকে চারটি মাউস ডিয়ারকে দত্তক নিলেন বনদফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। লুপ্তপ্রায় এই চারটি প্রাণীর যাবতীয় পরিচর্যা ও খাবারের খরচের ভার নিলেন মন্ত্রী।
ননন্দকানন থেকে বাংলায় আনা হয়েছে একাধিক নতুন বন্য প্রাণীকে। এরমধ্যে যেমন কমবয়সী বাঘ–সিংহ রয়েছে তেমনই রয়েছে মাউস ডিয়ার। বুধবার নন্দনকানন থেকে সোজা আলিপুরে এসেছে একজোড়া সিংহ, একটি বাঘিনি, দুটি মাদি হিমালয়ান ব্ল্যাক বেয়ার এবং দু’জোড়া মাউস ডিয়ার। তবে এখনই তাদের পর্যটকদের সামনে আনা হচ্ছে না। বরং পরিবেশের সঙ্গে খানিকটা খাপ খাইয়ে নিয়ে তারপর জনসমক্ষে আনা হবে নতুন অতিথিদের। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এদের মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় হতে চলেছে এই মাউস ডিয়ার।চোরাশিকারিদের অত্যাচারে হারিয়ে যেতে বসেছে শান্ত প্রাণীটি। দর্শকরা দেখতে পেলে খুব আনন্দ পাবে। আপাতত প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে নাইট শেল্টার বরাদ্দ করা হয়েছে। একসপ্তাহ সেখানে তাঁদের রেখে যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর করে যথাযথ পরিচর্যা করা হবে।
বন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেমন চাইছেন সেরকমভাবেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চিড়িয়াখানা। এই বন্যপ্রাণী গুলোকে কয়েকদিন পরেই প্রকাশ্যে আনা হবে। পুজোর আগে নতুন অতিথি আসায় পর্যটকদের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়বে। এর আগেও এই ধরনের অনেক প্রাণী নিয়ে আসা হয়েছে। চারটি মাউস ডিয়ারকে দত্তক নিয়েছি। আমি বলব এরকম ভাবে যদি কেউ এই প্রাণীগুলিকে দত্তক নিতে চান তাহলে তারা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি কোন প্রাণীকে দত্তক নিচ্ছেন তা সেই প্রাণীর খাঁচার সামনে বোর্ডের মধ্যে লেখা থাকবে।