মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকানা ও ঠিকানা বদলের ছাড়পত্র রাজ্যের

আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে প্যান ও আধার কার্ডের প্রতিলিপি দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনে মোট ১২টি বিষয়কে যুক্ত করতে হবে।

0
1

রাজ্যজুড়ে বেসরকারি এমটিএস রয়েছে কয়েকশো।রাজ্যের মোটর ট্রেনিং-স্কুলগুলির মালিকানা ও ঠিকানা বদলের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এব্যপারে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি চাইলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে মালিকানা ও ঠিকানা বদল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের কাছে মোট ১২টি নথি জমা করতে হবে। সেই সব নথিপত্র যাচাইয়ের পর ঠিকানা ও মালিকানা বদলে অনুমতি দেবে পরিবহণ দফতর।

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোটরযান আইনে মালিকানা কিংবা ঠিকানা পরিবর্তনের সুস্পষ্ট সংস্থান নেই। তার ফলে মোটর ট্রেনিং-স্কুলগুলির মালিকানা ও ঠিকানা বদলের কাজ করতে সমস্যা হতো। সেই সমস্যা মেটাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকের মৃত্যুতে কিংবা ভিন্ন কারণে মালিকানা বদলের জন্য স্কুলের লাইসেন্স-সহ আইনি দাবিদারকে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে। জমা করতে হবে মৃত্যুর শংসাপত্র-সহ একটি হলফনামা। লিখিত বয়ানে জানাতে হবে, সংশ্লিষ্ট মোটর ট্রেনিং স্কুলের অন্য কোনও দাবিদারের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে প্যান ও আধার কার্ডের প্রতিলিপি দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনে মোট ১২টি বিষয়কে যুক্ত করতে হবে।

অন্যদিকে, মোটর ট্রেনিং স্কুলের ঠিকানা বদলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স-সহ একই ভাবে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে প্যান ও আধার-সহ ট্রেনিং স্কুল অফিসের মালিকানার প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে। পরিবহণ দফতর দুই ক্ষেত্রেই জমা পড়া যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে ঠিকানা বদলের অনুমতি মিলবে ।

জানা গিয়েছে মালিকানা বদল সংক্রান্ত এই সমস্যা নিয়ে গত জুন মাসে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। ঠিক হয়, নয়া নির্দেশিকা তৈরি করা হবে। ওই এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, যে কোনও ক্ষেত্রে মালিকানা ও ঠিকানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহণ দফতরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছিল। কিন্তু কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছিল না। গত সপ্তাহে দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে দেওয়ায় যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়েছে। সঠিক নথি জমা দিলে মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির ঠিকানা ও মালিকানা বদলে খুব বেশি সময় লাগবে না।