নারী সুরক্ষায় কড়া আইন ও দ্রুত বিচার কার্যকর করতে বারবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধর্ষণের অপরাধে ফাঁসির সাজার দাবি জানাচ্ছেন মমতা। সেই চিঠি উত্তর না দিলেও নারী নির্যাতন রুখতে দ্রুত বিচারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। শনিবার দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ৭৫ বছর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত মামলার দ্রুত রায়দান জরুরি।
আর জি কর-কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তে ঘটনা ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে ধরা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশে গত ১৭-১৮দিন সিবিআই ঘটনার তদন্ত করে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। এই পরিস্থিতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। এদিন বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে মোদি বলেন, ”বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা রুখতে গত এক দশকে নানা পর্যায়ে কাজ হয়েছে। ন্যায়বিচার দেওয়ার পরিকাঠামোকে মজবুত করতে গত ১০ বছরে দেশের ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত ২৫ বছরে এই সংক্রান্ত যত খরচ হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই ব্যয় হয়েছে এই এক দশকে।”
২২ আগস্ট ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারও ফের একই দাবিতে তিনি চিঠি লেখেন মোদিকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে। দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট তৈরির প্রস্তাব দেন তিনি। ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান মমতা। এবার দ্রুত বিচারের দাবি মোদিরও।