Sunday, August 24, 2025

কৃষকদের সুরক্ষায় ধান-ভুট্টাকে শষ্য বীমার আওতায় আনছে রাজ্য, আবেদনের শেষ তারিখ কবে?

Date:

Share post:

রাজ্য সরকার চলতি খরিফ মরশুমে রাজ্যের কৃষকদের সুরক্ষায় ধান এবং ভুট্টাকে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় এনে বীমা করার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ভুট্টার ক্ষেত্রে আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর এবং ধানের ক্ষেত্রে আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীমা করা যাবে বলে কৃষি দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে শিলাবৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যা, জল জমা এবং ফসল কাটার পরে খামারজাত করার আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে রাজ্য সরকার বীমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।

সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার বাংলা শস্যবিমার ব্যপ্তি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। এজন্যই কৃষি দফতর চলতি মাস থেকে জেলায় জেলায় শিবিরেরে আয়োজন করবে। প্রয়োজনে যা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি অবধি চালানো হবে। এই মর্মে কৃষি দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত কৃষককেই বিমার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এজন্য় জেলাগুলিকে লক্ষমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলির ব্লক অফিসের পাশাপাশি অন্য কোথাও ক্যাম্প করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে। ২০১৯ সালে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ২২৮৬ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে ৮৫ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। গত খরিপ মরশুমের জন্য বাংলা শস্য বীমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার শস্য হানি বাবদ ১১ লাখ কৃষকদের ১০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে।

এবছর বেশি সংখ্যক চাষি আলু চাষে বিমা করেছিলেন। তাঁর সুফল তাঁরা পেয়েছেন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ রাজ্যের চাষিরা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিরাও যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে শিবির করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি জেলাতেই বেশি সংখ্যক চাষিকে বিমা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কবে কোথায় ক্যাম্প হবে, তা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসে ঠিক করবেন। সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হবে।

আরও পড়ুন- ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও হার, ডুরান্ডের ফাইনালে হারের পর কী বললেন বাগান কোচ মোলিনা ?

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...