‘শিবদ্রোহী’ বিজেপির ক্ষমা নেই, মূর্তি ভাঙায় মুম্বই কাঁপালো মহা বিকাশ আঘাড়ি

উপস্থিত ছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, এনসিপি নেতা (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) শারদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্র কংগ্রেস প্রধান নানা পাটোলে

ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অহংকারী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মাথা নত করতে বাধ্য করেছে বিরোধীরা। তারপরেও ছত্রপতির মূর্তি ভাঙার ক্ষোভ ভুলতে পারছে না মুম্বই তথা মহারাষ্ট্র। বিরোধী জোট ‘জুতো মারো কর্মসূচি’ নিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তায় নামল রবিবার। একদিকে মূর্তি তৈরিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মহা বিকাশ আঘাড়ির নেতৃত্ব, অন্যদিকে সেই মূর্তি ভাঙার কারণ তুলে ধরতে যে ঠুনকো যুক্তি বিজেপি দিয়েছে, তার রাজনৈতিক সমালোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে এখান থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করল বিরোধীরা।

হুতাত্মা চক থেকে গেট ওয়ে অব ইন্ডিয়া পর্যন্ত হয় বিরোধীদের মহামিছিল। স্লোগান ওঠে, শিবদ্রোহীদের ক্ষমা নেই। উপস্থিত ছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, এনসিপি নেতা (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) শারদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্র কংগ্রেস প্রধান নানা পাটোলে। উত্তেজনার আশঙ্কা করে একনাথ শিণ্ডে সরকার মুম্বইয়ের রাস্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করে। গেট ওয়ে অব ইন্ডিয়ায় পর্যটকদের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

প্রায় ৮ মাস আগে মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলায় শিবাজীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৩৬০০কোটি টাকা খরচ করে। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৬ অগাস্ট হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেই মূর্তি। মূর্তি তৈরি ও বসানোর কাজ পাওয়া জয়দীপ আপ্তে ও চেতন পাটিলের নামেও জালিয়াতির এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন চেতন। তবে বিরোধীদের দ্রোহ কমেনি। তাঁদের বক্তব্য, চমক দেখাতে গিয়ে কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বরেণ্য ব্যক্তিদের মূর্তি স্থাপন করে ডবল ইঞ্জিন সরকার। কিন্তু শ্রদ্ধার বদলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকে দুর্নীতি। মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে দেখভাল করা হয় না বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, শিবাজীকে সম্মান প্রদর্শনের বদলে আসলে অশ্রদ্ধাই করা হয়েছে।

Previous articleস্তন্যদানের সময় সদ্যজাতর গলা টিপে খুন করলেন মা!
Next articleবিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের মহামিছিলে সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা,তুলোধনা সিবিআইকে