নাগরিক আন্দোলনের নয়, কুরাজনীতির বিরোধী: কেন বললেন কুণাল!

আর জি-কর-কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করার বিরোধী। তবে, নাগরিক আন্দোলনের বিরোধী নন। রবিবার, নিজের X Handle-এ পোস্ট করে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। লেখেন, “নাগরিক আন্দোলনের বিরোধিতা নয়; বিরোধীদের কুরাজনীতি বিরোধিতা করছি এবং করব। আবারও স্পষ্ট করছি অবস্থান।“

আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College And Hospital) কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের পর থেকে বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় মিছিল করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। কিন্তু এই ঘটনাকে ইস্যু করে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিরোধীরা। এর বিরোধিতায় সরব কুণাল ঘোষ। তিলি লেখেন, “RGKar. ন্যায়বিচার চেয়ে বিভিন্ন শাখার নাগরিকদের মিছিল কভারেজের অনুরোধ পাচ্ছি যুক্ত থাকা সংবাদমাধ্যমগুলিতে। যতটা পারছি ছবি, খবর প্রকাশও করছি।

নাগরিকদের মিছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের মূল দাবি আমিও সকলের মতই সমর্থন করি। বিচার চাই। প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বুঝেছেন। সেখান থেকে বিরক্তি, অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেই নাগরিকদের পথে নামতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বও সরকারের। প্রশাসন এমন কোনও কাজ করবে কেন যে অবস্থা সামলাতে শাসক দলকেও

বিচার চাই বলে কর্মসূচি নিতে হবে? তাও দলের সবাই সমানভাবে নামেন না। যাই হোক, আত্মসমালোচনা দরকার। তবে নাগরিকদের কর্মসূচির বিরোধিতা বা পাল্টা কর্মসূচির প্রশ্নই নেই। কিন্তু, এই নাগরিকদের আবেগকে ব্যবহার করে সিপিএম, বিজেপির কুরাজনীতি বা মুখোশ পরে অরাজকতা তৈরির চেষ্টার বিরোধিতা করা জরুরি, তাই করছি। কারণ এদের জমানার ঘটনাগুলো মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত। একটা শ্রেণীর সুবিধাবাদী অবস্থানও সমালোচনার মতই। হ্যাঁ, এই ঘটনায় নাগরিক সমাজের প্রশ্ন তোলার অধিকার আছে। বিরোধিতা কেন করব? কিন্তু সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস এনিয়ে কুরাজনীতি করছে; তার প্রতিবাদ হবে, তারা আয়নায় মুখ দেখুক।

আমি আমার অবস্থানে প্রথম দিন থেকে স্পষ্ট। দোষী/দের চরম শাস্তি হোক। যদি কেউ/কারা আড়াল করে থাকে, চিহ্নিত হোক, শাস্তি হোক। প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপ মানুষ ভালোভাবে নেননি। সেটা প্রশাসন দেখুক। এনিয়ে নাগরিক আন্দোলন সমর্থনযোগ্য। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক ইভেন্টের ফাঁদে পা দেবেন না। আমাকে যে যা খুশি বলতে পারেন।“

প্রথম থেকেই নাগরিক সমাজকে রাজনীতির ফাঁদে পা দেওয়া থেকে সতর্ক করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপেই যে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে, সে বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। বলেন, “প্রশাসন এমন কাজ করবে কেন যে অবস্থা সামাল দিতে শাসকদলকেও ‘বিচার চাই’ বলে কর্মসূচি নিতে হবে? তা-ও দলের সবাই সমান ভাবে নামে না।“ আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে নাগরিক আন্দোলনকেও সমর্থন করেছেন তিনি।











Previous articleশৌচাগারে বোমের চিঠি! ঘুরিয়ে দেওয়া হল ইন্ডিগো-র বিমান
Next articleভিনরাজ্যে মৃত বাংলার শ্রমিকের পরিবারের পাশে সাংসদ অভিষেক, পাঠালেন আর্থিক সাহায্য