লেহ থেকে ‘দিল্লি চলো’, চার দাবিতে বিরাট পদযাত্রা সোনম ওয়াংচুর

লাদাখবাসীর দাবি আরও জোরালো হতে চলেছে। তাই গান্ধী জয়ন্তীকেই তাঁরা দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছেন

দাবি পূরণ হয়নি। খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারই মধ্যে প্রতিবেশি জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু লেহ-লাদাখের পরিস্থিতি সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। দেশের পর্বতময় পর্যটন কেন্দ্রের চার দফা দাবি আজও পূরণ করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু লাদাখে থেকে আন্দোলন চালালে দিল্লির কানে পৌঁছাবে না, বুঝতে এবার দিল্লি দরবারে কড়া নাড়তে রবিবার লেহ থেকে রওনা দিলেন স্থানীয়রা।

বিগত পাঁচ বছর, বিশেষত গত এক বছর ধরে লাদাখের মানুষ পূর্ণরাজ্যের (statehood) দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে লাদাখের সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষায় ষষ্ঠ তপশিলের (Sixth schedule) অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তাঁরা। সম্প্রতি লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রশাসিত লাদাখে জেলা ভাগ আদৌ তাঁদের কাছে খুশির খবর কিনা, তা-ই বুঝতে পারছেন না লাদাখবাসী।

সেই সঙ্গে লাদাখের মানুষের কর্মনিশ্চয়তার জন্য দ্রুত সরকারি চাকরি পরীক্ষা ব্যবস্থা শুরু এবং লেহ ও কার্গিলের আলাদা জেলা হিসাবে ঘোষণার চার দফা দাবি নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর দিল্লির পথে হাঁটা শুরু করেন লাদাখবাসীরা। এই মিছিল শুরু হয় লেহ অ্যাপেক্স বডি (Leh Apex Body) ও কার্গিল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্সের (Kargil Democratic Alliance) উদ্যোগে। এপ্রিল মে মাসে লাদাখের জন্য যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk) ও তাঁর অনুগামীরা, তখনই কার্গিল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্সও তাঁর সঙ্গে যোগ দেয়।

লেহ থেকে রওনা দেওয়ার পরে সোনম দাবি করেন, যদি লাদাখে জেলা ভাগের পরে সেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে বাসিন্দারা, তবে তাঁদের এই দিল্লি যাত্রা মোদি-অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। কিন্তু যদি তা নিছকই প্রশাসনের কাজের সুবিধার জন্য হয়ে থাকে, তবে লাদাখবাসীর দাবি আরও জোরালো হতে চলেছে। তাই গান্ধী জয়ন্তীকেই তাঁরা দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

Previous articleনেই ব্রেক থ্রু, অন্ধকারে তির ছুঁড়ছে সিবিআই! এবার তলব আর জি করের সিকিউরিটি গার্ডকে
Next articleবিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য পদে ২৫০০ আবেদনকারী, নিয়োগের তথ্য পেশ সুপ্রিম কোর্টে