কিমের নির্দেশে আবারও ফের নির্মম ঘটনা ঘটতে চলেছে উত্তর কোরিয়ায়। আরও একবার স্বৈরাচারী কিম সরকারি আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। কিম যেমন আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করেন না, তেমনই মানবাধিকার রক্ষা নিয়েও তাঁর মাথা ঘামননা এমনটাই অভিযোগ। এর মাঝেই এবার কিমের নয়া কীর্তিতে শোরগোল পড়ে গেল।

চলতি বছরে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে বন্যা ও ধস নামে। প্রাণ হারান হাজার হাজার মানুষ। বহু মানুষ ঘর ছাড়াও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির কারণে সরকারি আধিকারিকদেরই ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন কিম। আধিকারিকদের কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে। ৩০ জন সরকারি আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন কিম, এমনটাই জানানো হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে। অগাস্টেই কিমের নির্দেশ মেনে ৩০ জন সরকারি কর্মচারীকে হত্যা করেছে সরকার।
কোভিডের সময় থেকে উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্যার দায় ঘাড়ে চাপিয়ে সরকারি আধিকারিকদের হত্যার এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বের সব জায়গায়। উত্তর কোরিয়ায় গত জুলাই মাসে বন্যার কবলে প্রায় ৪০০০ বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। গৃহহীন হন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এখনও ত্রাণশিবিরের আশ্রয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। এই দায় সম্পূর্ণ সরকারি আধিকারিকদের। তাদের ব্যর্থতার জন্যই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কবলে হাজার হাজার মানুষ, এমনই মনে করছেন কিম।
