গত নভেম্বরে মালদ্বীপের নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মহম্মদ মুইজ্জু। তার উত্থানের পর থেকে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে আরও তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেজিং। তবে বছর ঘুরতেই না ঘুরতেই বদলে গেল সেই চিত্র। চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে দ্বীপরাষ্ট্র। সুকুক যা পরিচিত ইসলামিক বন্ড নামেও, চলছে তা বিক্রি করার হিড়িক।এদিকে সুকুকের দাম সম্প্রতি ৭০ সেন্ট করে কমেছে ডলারের নিরিখে। এই পতন সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।একদিকে বিদেশি মুদ্রার খরা অন্যদিকে শেষ হচ্ছে ডলারের ভান্ডার।
ফলে দেউলিয়ার আশঙ্কায় ভুগছে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। জুন মাসের তথ্যানুসারে, মলদ্বীপের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে ৩৯.৫ কোটি ডলার থাকা সত্ত্বে মাত্র ৪৫ লক্ষ ডলার তা ব্যবহারযোগ্য।অন্যদিকে সুকুক বিক্রি বাড়ায় বিপদের মুখে মুইজ্জু সরকার। পাশাপাশি ২০২৬ সালে মেয়াদপূর্তি সুকুকের ঋণপত্র বাবদ ৫০ কোটি মেটাতে হবে সরকারকে। আর তার মাঝেই দাম কমার কারণে সুকুক বিক্রি নতুন করে চাপে ফেলেছে দ্বীপরাষ্ট্রকে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে ড্যান্সকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সোয়েচেন মোরচের জানিয়েছেন, আমরা গ্রীষ্মের শুরুতে বেশির ভাগ বন্ড বিক্রি করেছিলাম। যেহেতু মলদ্বীপের হাতে বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার কমেছে, তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত। পুরো বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে।