বিচারকদের আবাসনে হামলার আশঙ্কায় এবার আরও বাড়ানো হল নিরাপত্তা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একদিকে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়। অন্যদিকে অভিযোগের আঙুল ওঠা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান জেলা পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী (Rahul Goswami)। যদিও এই ঘটনায় বিচারকের উপর আক্রোশের কোনও যোগ নেই বলে দাবি শাসকদলের। পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্তরের আক্রমণ এই ঘটনা, বলে জানান প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।

সোমবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তিন বিচারকের আবাসনে বাইরে থেকে আলো নিভিয়ে দিয়ে নাশকতা চালানোর অভিযোগ ওঠে। তিন বিচারক আলিপুর জেলা জজ (District Judge) শুভ্রদীপ মিত্রকে চিঠি লেখেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিচারকদের নিরাপত্তা কর্মী চারজনের পরিবর্তে নয়জন করে দেওয়া হয় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে। বিচারকদের অভিযোগ পেয়ে জেলা জজ নিজে ডায়মন্ড হারবার আদালতে (Diamond Harbor Court) গিয়ে বিচারকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা পুলিশ। ঘটনার দিন কে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও সিসিটিভির (CCTV) ফুটেজ পরীক্ষা করে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী (SP, Rahul Goswami)। তবে তিনি জানান, পুলিশের কাছে যে সিসিটিভি ফুটেজ পৌঁছেছে তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। আবাসনের বাইরে এক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।

সেই সঙ্গে এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে কুমারেশ দাস নামে এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপার জানান, ওই আধিকারিককে ইতিমধ্যেই ক্লোজ (close) করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর কাছে সাতদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে কেন তাঁর নাম এখানে জড়িয়ে পড়ল। এই ঘটনায় কোনওভাবেই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেই পুলিশ সুপারের দাবি, তিনি পুলিশ কর্মী হলেও তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন এসপি রাহুল গোস্বামী।


তবে এই ঘঠনায় কোনও বিচারক বা রায় নিয়ে অসন্তোষের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি শাসকদলের। কুণাল ঘোষ জানান, এই ঘটনায় এক ব্যক্তি উঁকিঝুঁকি মেরেছিলেন, যার সঙ্গে বিচারকের উপর হামলার কোনও যোগ নেই। সেই ব্যক্তি আবাসনের ভিতরে ঢোকেনি, পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছে। তবে গোটা বিষয়টি ব্যক্তিগত স্তরের যেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা পুলিশ নিরাপত্তা বাড়িয়েছে এই ঘটনার পরে, জানান কুণাল।
