Saturday, November 1, 2025

বাংলার অর্থনীতি বদলে দিতে তাঁতশিল্পের জুড়ি মেলা ভার: ব্রাত্য বসু

Date:

বাংলার তাঁত শিল্পের উন্নয়নে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলার তাঁত শিল্প অন্য মাত্রা পেয়েছে।বাংলার তাঁত শিল্পীদের নানানভাবে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার।পুজোর আগে বাংলার তাঁত শিল্পীদের অপূর্ব শিল্পকর্ম নিয়ে বুধবার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে চালু হল বাংলার তাঁতের হাট।তন্তুবায় সমবায় সমিতি, খাদি, হস্ত তাঁত মহল্লা, তন্তুজ-সহ একাধিক সংস্থা মিলিয়ে একাধিক স্টল জমিয়ে দিয়েছে তাঁতের শাড়ির মেলা।

এই তাঁতের হাটের উদ্বোধন করে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,তাঁত শিল্পের সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। ১৯২০ সালে আমরা দেখেছি ইংল্যান্ডে কিভাবে একের পর এক তাঁত শিল্পের উন্নয়ন।এখান থেকে আমাদের তাঁতিদের নিয়ে গিয়ে সেখানে শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। তাঁত শিল্পের ইতিহাস ২০০ বছরের বেশি। একটা সময় তাঁতিরা ছিল বাংলার সব থেকে বড় সম্পদশালী অংশ।তাঁত শিল্প বাংলার অর্থনীতি বদলে দিয়েছে।অবিভক্ত বাংলার তাঁতের যে গৌরব তার পুনরুদ্ধারে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তরের পক্ষ থেকে এই তাঁতের হাটের আয়োজন করা হয়েছে।প্রতিদিন বেলা দুটো থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। কোনও প্রবেশমূল্য নেই বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুজিত বসু, বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, কর্পোরেশনের এমআইসি তুলসী সিনহা রায় প্রমুখ।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, পুজোর মুখে এই তাঁতের হাট বিধাননগরবাসীর কাছে গর্বের। কারণ এখানকার কালেকশন মানুষকে এখানে টেনে নিয়ে আসে।মুখ্যমন্ত্রী পাট ও সুতোর যা দাম বেছে দিয়েছেন, তাতে ক্রেতারা কম দামে ভালো শাড়ি কিনতে পারছেন এবং বিক্রেতারাও লাভের মুখ দেখছেন।
মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, বাংলার বস্ত্র শিল্পের একটা ঐতিহ্য বরাবরই আমাদের আছে।সেই ঐতিহ্যের কালেকশন সবার মনে দাগ কাটবে।মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে তৈরি ডিজাইন কাপড়ের চাহিদা বাড়িয়েছে। গতবছরে এই বাংলা তাঁতের হাটে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ বছর বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ছোট, বড় মিলিয়ে ৩০০টির উপর স্টল বসেছে। মেলায় পাওয়া যাবে বালুচরী, ধনেখালি, জামদানি, টাঙ্গাইল, মসলিন, শান্তিপুরী সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি।
শাড়ির মন ভোলানো সম্ভারে পুজোর মুখে রীতিমতো শাড়িপ্রেমীদের কাছে বড় উপহার।। শাড়ি-সহ রাজ্যের হস্ত তাঁত শিল্পের নানান বস্ত্র-পোশাক নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন জেলার তাঁত শিল্পী থেকে শাড়ি ব্যবসায়ীরা।











Related articles

বাতিল হয়েছে ঐতিহ্যশালী ক্লাবের সদস্যপদ! জেমাইমার পরিবারের অজানা কাহিনী

রবিবার মুম্বইতে মহারন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কাপ জয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের বিরাট ভরসার নাম  জেমাইমা রদ্রিগেজ(Jemimah Rodrigues)। সেমিফাইনালে তাঁর...

বাংলাদেশে পাঠানো সোনালি একজন ভারতীয়: এবার প্রমাণ করল নির্বাচন কমিশনের নথি

বাংলাদেশী বলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া সোনালি খাতুন আদতে ভারতেরই নাগরিক। এবার সেটা প্রমাণ করল খোদ নির্বাচন কমিশনের ভোটার...

বিশ্বকাপ জিতলেই বিরাট অঙ্কের পুরস্কার, রোহিতদের সমান টাকা পাবেন স্মৃতিরাও!

রবিবার মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপের(ICC Women's World Cup) মেগা ফাইনাল। কাপ জয়ের লক্ষ্যে নামছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন...

ফেডারেশন অব ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমিকস-এর সম্মেলনে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন সমিত রায়

লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির (Adamas University) চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সমিত রায় (Samit Ray)। ২০২৫ সালের ফেডারেশন...
Exit mobile version