বাড়ির নতুন পোষ্যকে আদরে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী, গো-রক্ষার বার্তা

প্রধানমন্ত্রী নিজে দীপজ্যোতির ছবি প্রকাশের পরে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় বাছুরটি। তথাকথিত বিজেপির গো রক্ষক কর্মীরাই সে বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা নেয়

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরে অন্তত পাঁচটি দেশ ঘুরে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রিত্বে থাকা সময়কালে একবারও মনিপুরে পা রাখেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ফের জ্বলতে শুরু করেছে মনিপুর। আগুন নেভানোর আবেদন জানিয়েছেন খোদ বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু মনিপুরের মানুষের জ্বলন্ত পিঠে হাত না বুলিয়ে নিজের বাসভবনে পোষ্যকে আদর করতে ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদি। রোমের পতনের সময় নিরো মনের সুখ মেটাতে বেহালা বাজাচ্ছিলেন। নিরোর সঙ্গে কোনও সম্পর্কে না থাকা মোদিও নির্বাচনের আগে বারবার জওয়ানদের মৃত্যুর সাক্ষী থাকা কাশ্মীর বা মনিপুরের কথা ভুলে বাসভবনের পোষ্যকে আদরে মাতলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গে একটি বাছুর জন্ম নেয়। সেই বাছুরটিকে নিয়ে নানা মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন নরেন্দ্র মোদি। বাড়িতে ও পরিবারে নতুন সদস্য বলে সেটিকে সম্বোধন করেন মোদি। বাছুরটির মাথায় একটি সাদা দাগের কারণে তার মাথায় আলোর রেখার মতো দেখতে লাগে সেটিকে। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজে বাছুরটির নামকরণও করেন দিব্যজ্যোতি। কখনও নিজে বাছুরটিকে চুমু খান। কখনও বাছুরটি তাঁর গাল চেটে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী নিজে দীপজ্যোতির ছবি প্রকাশের পরে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় বাছুরটি। তথাকথিত বিজেপির গো রক্ষক কর্মীরাই সে বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যদিও সম্প্রতি বিজেপিরই নাগাল্যান্ড রাজ্যের একটি জেলা শাখা বিজেপির গো-হত্যা বন্ধের নীতির প্রতিবাদ করেছে। তাঁদের দাবি, এই মানসিকতা নাগাল্যান্ডের ফেক জেলার বাসিন্দাদের চিরাচরিত প্রথার বিরোধী। বিজেপির গো ধ্বজ স্থাপনা যাত্রা-র সরাসরি বিরোধিতা করে বিবৃতি জারি করেছে।

Previous articleকেমন সম্পর্ক বিরাট-গম্ভীরের ? মুখ খুললেন পীযূষ চাওলা
Next articleপদ ছেড়েও তৃণমূল-মুখী! মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশংসায় জহর