স্বচ্ছ আলোচনার দাবি, এবার বৈঠক চেয়ে তড়িঘড়ি আবেদন ডাক্তারদের

মুখ্যমন্ত্রী মৌখিকভাবে তাঁদের আলোচনার আবেদন জানানোর পরে চিকিৎসকরা নিজেরাই আলোচনা চেয়ে মেল করলেন

রাজ্য সরকার জট কাটাতে চেয়ে পরপর তিনদিন বৈঠকের আবেদন জানিয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের। নবান্নের দোরগোড়া থেকে ফিরে আসা ডাক্তাররা এবার নিজেরাই নবান্নে মেল করলেন বৈঠকের আবেদন জানিয়ে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এবার প্রায় কোনও শর্তই রাখা হয়নি। যে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বৈঠক শুরুর শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছিল সব প্রচেষ্টা, সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের স্পষ্ট কোনও উল্লেখ রাখা হয়নি তাঁদের নবান্নে লেখা চিঠিতে। দ্রুত আলোচনার আবেদন জানিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার নবান্নে ১৫ জনের পরিবর্তে ৩৪ জনকে নিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে চেয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সরকারের পক্ষ থেকে সেই দাবিও মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি জানানো হয় সরকারের তরফে। শুধুমাত্র এই একটি কারণ দেখিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি, মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠককে অস্বীকার করেন চিকিৎসকরা। তারপরেই আন্দোলনে সমর্থন জানানো সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ সেই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছিলেন। আন্দোলনের গতি নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে।

সেই জায়গায় শনিবার হঠাৎই ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের উপস্থিতি খানিকটা শাপে বরের মতই হয় চিকিৎসকদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মৌখিকভাবে তাঁদের আলোচনার আবেদন জানানোর পরে চিকিৎসকরা নিজেরাই আলোচনা চেয়ে মেল করলেন। মেলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যতিক্রমী সৌজন্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ৩৫ দিন ধরে যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা, সেই দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা চেয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বৈঠকের স্বচ্ছতা বজায় রাখারও আবেদন জানানো হয়। যদিও স্পষ্টভাবে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে এই মেলে কিছু বলা হয়নি।