চালু হচ্ছে বারকোড ট্র্যাকিং সিস্টেম, এবার সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্যে নজরদারি চালাবে প্রশাসন

রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। আরজি কর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এ-ব্যপারে স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী হয়েছে। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে দৈনিক মেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ ও তার ব্যবস্থাপনার উপর নজরদারি চালাতে বারকোড- নির্ভর ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।

এবার থেকে বর্জ্য বহনে ব্যবহৃত ক্যারিব্যাগে এবার থেকে বারকোড বসানো থাকবে। সেই বারকোড স্ক্যান করলেই ক্যারিব্যাগের ভিতরে কোন ধরনের বর্জ্য কত পরিমাণে রয়েছে তা জানা যাবে। পরিবেশ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি হাসপাতালে মেডিক্যাল বর্জ্যকে পৃথক করা হয়। সেগুলো যাতে একসঙ্গে মিশে না যায়, সেজন্য পৃথক রঙের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করার কথা। সেই ক্যারিব্যাগের গায়েই এবার থেকে বার কোড বসানো হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বার কোড দেওয়া থাকলে হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্ক্যানারে ধরা পড়ে যাবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশের কাজটাও সহজ হবে। রোগীদের গজ থেকে শুরু করে রক্তমাখা কাপড়, সিরিঞ্জ, গ্লাভসের মতো মেডিক্যাল বর্জ্য অপসারণের জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। হাসপাতালে কমন-বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি থাকাটাও বাধ্যতামূলক। হাসপাতালে যে তরল বর্জ্য উৎপন্ন হয় তা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে শোধন করা হয়। রাজ্যের অনেক হাসপাতালে এই ধরনের প্ল্যান্টও রয়েছে।

আরও পড়ুন- আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের, বিএফসির কাছে হারল ১-০ গোলে

 

Previous articleআনোয়ারকে নিয়ে জট অব্যাহত, মঙ্গলবার ফের শুনানি
Next articleআরও বিপাকে পরিচালক! এবার অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে আরও এক অভিনেত্রী