কাশ্মীরে বিজেপির ভোট ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্যস্তরে বিরোধীরা যতই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হেয় করুক, অপমান করুক, ওদের সর্বভারতীয় নেতারাও জানেন, বোঝেন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটা যুগান্তকারী মডেল

মহিলা ক্ষমতায়নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, এবার মোদির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অমিত শাহ সেটাই স্বীকার করে নিলেন। শুধু তাই-ই নয়, কার্যত নাম না করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’কেই নকল করলেন তিনি। সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর নির্বাচন বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবিরের। বাদ পড়ল না কংগ্রেসও। আর বিরোধী দলগুলির এই প্রয়াসকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন “ওরাই বার বার প্রমাণ করে দেয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটা মডেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা তৈরি করেছেন। আর ওঁরা নকল করেন।”

আসন্ন জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনে বিজেপির তরফ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে পরিবারের বয়স্ক মহিলাকে প্রতিবছরে ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সামনে এনেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে কিছু দিন আগে শ্রীনগরের জনসভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রতি পরিবারের বয়স্ক মহিলাকে মাসিক ৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আর তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনহিতকর প্রকল্পকে রাম-বাম-কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা পাশাপাশি নেতারাও অনেক সময় ভিক্ষার সঙ্গে তুলনা করেন,সামাজিক মাধ্যম থেকে নির্বাচনী সভায়। তাহলে ভিনরাজ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে সামনে রেখে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার এই প্রয়াস কেন?

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন,”রাজ্যস্তরে বিরোধীরা যতই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হেয় করুক, অপমান করুক, ওদের সর্বভারতীয় নেতারাও জানেন, বোঝেন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটা যুগান্তকারী মডেল। তাই নির্বাচন এলেই রাজ্যে রাজ্যে ওরা নতুন নতুন নাম দিয়ে এই প্রকল্পের নকল করেন।” সঙ্গে জুড়লেন, “বুঝতে হবে বাংলা একটা বিশাল রাজ্য। এখানে এই প্রকল্পের প্রাপক অনেক বেশি। আমরা শুধু পরিবারের প্রবীণতমাকে নয়, প্রত্যেককে এই প্রকল্পের আওতায় এনেছি। তার উপর বাংলাকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কেন্দ্র আমাদের প্রাপ্য টাকা দেয় না। তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন। এই প্রকল্পকে সফল করেছেন। মডেলে পরিণত করেছেন। সেই কারণেই বাংলায় গালমন্দ, অপমান করলেও ওদের শীর্ষনেতৃত্ব বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন এলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে নকল করে। অর্থাৎ প্রমাণ করে দেয় এই প্রকল্প কতখানি জনহিতকর। কতখানি যুগান্তকারী।”

Previous articleমার্কিন নির্বাচনের দুই প্রার্থীর সমালোচনায় পোপ ফ্রান্সিস!  
Next articleআইএসএল-এর প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা, বিএফসির কাছে ম্যাচ হেরে কী বললেন লাল-হলুদ কোচ ?