গাড়িতে তুলে ১৩ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ! যোগীরাজ্যে অসহায় নারী

কখনও পণ্যের মতো ব্যবহার, কখনও খেলার পুতুলের মতো ধর্ষণ আর গণধর্ষণের ঘটনায় নারী নিরাপত্তার চেহারাটা উত্তরপ্রদেশে আতঙ্ক ছড়ালেও তাপ উত্তাপবিহীন যোগী প্রশাসন। দিনের আলোতে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় কলুষিত হল মথুরা শহর। তিন অপরাধীর মধ্যে দুজনকে সনাক্ত করতে পারলেও এখনও তাদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ এগোয়নি। এই ঘটনায় মাদক খাওয়ানোয় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সকালের খাবার কিনতে বেরোনো ১৩ বছরের নাবালিকাকে প্রথমে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ মথুরার ছাতা এলাকায়। নীরজ নামের এক ব্যক্তি জলের মধ্যে মাদক মিশিয়ে খাওয়ায় ওই নাবালিকাকে। সেটা খাওয়ার পরই নাবালিকা অচেতন হয়ে পড়ে। তখনই নীরজ, শৈলেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি ও তাদের আরেক সঙ্গী নাবালিকাকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করে। সেই সময় নাবালিকা অর্ধচেতন অবস্থায় ছিল। কুকীর্তির পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি ফ্লাইওভারের নিচে নাবালিকাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।

জ্ঞান ফিরে আসার পরে প্রবল পেটে যন্ত্রণা নিয়ে কোনওমতে বাড়ি পৌঁছায় নাবালিকা। বাড়িতে গোটা ঘটনা জানালে পরিবারের লোকেরা ছাতা থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। সেখানে মাদকের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে পরিবার গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।

প্রকাশ্য রাস্তায় নাবালিকাকে অপহরণ। তারপরে মথুরার মতো শহরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ। এতকিছুর পরেও ঘুম ভাঙেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। মথুরার পুলিশ সুপার জানান দুজন অপরাধীকে সনাক্ত করে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে তৃতীয় অপরাধীর এখনও সন্ধান করে উঠতেই পারেনি পুলিশ।

Previous articleবাংলাদেশের ফিল্ডিং সাজিয়ে দিলেন পন্থ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
Next articleঅজুহাত তুলে লন্ডনে বাতিল করা হল ডোনার নৃত্যানুষ্ঠান!