বাংলা বিনোদন (Bengali Entertainment Industry) জগতে বড় কাণ্ড। গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলা হেয়ার ড্রেসারের। কাজ হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ফলেই কি এই চরম সিদ্ধান্ত? খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukhopadhyay), সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy), সৃজিত মুখোপাধ্যায়(Srijit Mukherjee), অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, মানালি দে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা। গর্জে উঠেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty), তাঁর হুঁশিয়ারি, “এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বো”।

আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে নারী হেনস্থা এবং নিরাপত্তা নিয়ে সরগরম টলিউড। তৈরি হয়েছে বিশেষ ফোরাম। তাতেও পরিস্থিতির কোন বদল হয়েছে কি? প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন যে শিল্পী, দিনের পর দিন তাঁকেই কাজ হারিয়ে অবসাদগ্রস্ত করে তোলার চেষ্টার অভিযোগ সিনে পাড়ার একাংশের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন কাজ না পেয়ে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন টলিউড শিল্পী হেয়ার ড্রেসার তনুশ্রী দাস (Tanushree Das)। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা। সূত্রের খবর গিল্ডের তরফ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তনুশ্রীকে। এরপর থেকে কোনভাবেই কাজের ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। বাড়ছিল ঋণের বোঝা, কার্যত অবসাদে ডুবতে থাকেন শিল্পী। শেষমেষ গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আপাতত তিনি বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে। একটি ভাইরাল অডিও বার্তায় তনুশ্রী জানিয়েছিলেন গিল্ড থেকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড হওয়ার পর ফেডারেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন তাঁকে কোন কাজ না দেওয়া হয় ( যদিও সেই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ)। একইসঙ্গে তনুশ্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমি যদি আত্মহত্যা করি তার জন্য দায়ী থাকবে এই কমিটি।’ গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে শনিবার সোশাল মিডিয়ায় সুদিপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশশজ্জা শিল্পী তনুশ্রী দাস (তনু)। আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যার আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের ইমারজেন্সি তে শুয়ে। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে।’ যদিও এই নিয়ে গিল্ডের তরফে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
