হবে রেকর্ড কর্মসংস্থান! এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪টি নতুন শিল্প তালুক গড়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রাজ্য সরকার পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪টি নতুন শিল্প তালুক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গড়বেতা-১, চন্দ্রকোণা-২, মেদিনীপুর সদর ও কেশপুর ব্লকে এই ৪টি শিল্প তালুক হবে। এগুলি গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। জমিগুলি থেকে যাতে শিল্পপতিরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা পায় সেইদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। নতুন ওই ৪ শিল্প তালুক তৈরি হলে কয়েক হাজার যুবক-যবতীর কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গড়বেতা-১ ব্লকের শিল্প তালুকটি হবে গনগনি এলাকায়। ওই এলাকা থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রেল যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের লালগড়ে শিল্প তালুক হবে। এই এলাকা থেকে চন্দ্রকোণা ও ঘাটাল রোড খুব সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাটা এলাকায় শিল্প তালুক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেশপুর ব্লকের চাঁদমুড়া এলাকায় তালুক তৈরি হবে। প্রতিটি শিল্প তালুকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থা থাকবে। শিল্প তালুকের মধ্যে উৎপাদন, লজিস্টিকস, কোল্ড স্টোরেজ, পোল্ট্রি, মাছের উৎপাদন করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিনিয়োগে গতি আনতে ১০০টি শিল্পতালুক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাম জমানায় মাওবাদী আন্দোলনের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল উন্নয়ন। কেশপুর সহ একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক হানাহানির জেরে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা জেরবার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার বদলের পর ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় কৃষির পাশাপাশি শিল্পেও বাড়তি গুরুত্ব দেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে জেলায় অসংখ্য ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠতে শুরু করে। এবার নতুন ৪টি শিল্পতালুক গড়ে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রসার ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক শিল্পকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকার চাইছে সরকারি জমিতে ও জমি কিনে বা লিজ নিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প গড়ে উঠুক। ইতিমধ্যেই জেলায় সরকারি জমিতে লিজে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য শিল্প তালুক গড়তে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- গণহত্যার ঘটনায় ৪ দশক পর ১৩ জনের যাবজ্জীবনের নির্দেশ সিউড়ি আদালতের