আর জি কর প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ভুয়ো! ভাঙচুরে সম্মতি ছিল জুনিয়রদেরও

চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যু হয় সেদিনই কিছু দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)। তার মধ্যে শোয়ার জায়গা, পড়ার জায়গা ও বিশ্রামের জায়গা তৈরিও ছিল

কলকাতা পুলিশ আর জি করের (R G Kar Hospital) খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে যে গ্রেফতার করেছিল, সেই অভিযোগে এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও গ্রেফতারি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তার পরেও কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলে একের পর এক বিভ্রান্তি তৈরি থেকে পদস্থ আধিকারিকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)। অথচ যে ঘর ভাঙার ফলে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে সেই ভাঙার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরাই। সিবিআইয়ের হাতে আসা তথ্যে তেমনটাই উঠে আসছে। অর্থাৎ বামপন্থী ও বিরোধীদের ইন্ধনে যে কলঙ্ক কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনছেন চিকিৎসকরা তা যে নেহাৎ রাজনীতি, তা এই তথ্যে ফের পরিষ্কার।

সিবিআইয়ের হাতে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ৯ অগাস্ট ময়নাতদন্তের (postmortem) জন্য যে নিয়মমাফিক আবেদন করতে হয় সেই আবেদন করেছিলেন মৃত তরুণী ডাক্তারের পরিবার এবং জুনিয়র ডাক্তাররা। যেদিন চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যু হয় সেদিনই কিছু দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)। তার মধ্যে শোয়ার জায়গা, পড়ার জায়গা ও বিশ্রামের জায়গা তৈরিও ছিল। সেদিনই বৈঠকে যে মিনিটস (minutes) হয়েছিল তাতে সই ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের।

শুধু তাই নয়, চেস্ট মেডিসিনের যে অংশ নির্মাণকাজের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছিল, তার আগে ১০ এবং ১২ অগাস্ট সেই জায়গা পরিদর্শন করে পিডব্লুডি (PWD) ইঞ্জিনিয়র-সহ হাসপাতালেরই একটি টিম। বিস্ময়করভাবে দেখা যাচ্ছে সেই টিমে ছিলেন তিনজন পিজিটি, পিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়র, চেস্ট মেডিসিনের (Chest Medicine) এইচওডি (HoD), একজন নার্স (nurse)। কোথায় কতটুকু ভাঙা হবে, কী নির্মাণকাজ হবে, কীভাবে হবে তা পর্যবেক্ষণ করে খতিয়ে দেখে ইনস্পেকশন মিনিটসে (minutes) সই করেছিলেন এই টিমে থাকা সকলেই।

এরপরেও ময়নাতদন্ত, চেস্ট মেডিসিন (Chest Medicine) বিভাগের একটি অংশ ভাঙা হল কেন তা নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ও তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যে দাবি তাঁদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টেও করা হয়েছে। যাতে গলা মেলায় সংবাদমাধ্যম, বিরোধী দল, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজের নামধারী বোদ্ধারা। কিন্তু আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লেখা চিঠিতে মৃতার বাবার সম্মতিসূচক সই এবং ভাঙার ঘটনা যে সকলেই জানতেন তা চেপে শুধমাত্র মিথ্যাচার করা হয়েছে।