রাজন্যাাকে ফোন রুদ্রনীলের! ‘পক্ষে’র দাবি উড়িয়ে দলের মত জানালেন কুণাল

বিজেপি যোগের অভিযোগ উঠেছিল লোকসভা নির্বাচনের আগেই। তাঁর কাছে ফোন গিয়েছিল বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই ফের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেত্রী রাজন্যা হালদারের (Rajanya Halder) পদ্মযোগের খবর প্রকাশ্যে। তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করার পরেই BJP নেতা ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) তাঁকে ফোন করেন। শুধু তাই নয়, রাজন্যা হালদার এবং তাঁর স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীর (তাঁকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে) পাশে থেকে বিতর্কিত শর্টফিল্ম (Short Film) প্রকাশে সাহায্যের আশ্বাস দেন। এদিকে, রাজন্যা সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, এই ছবি দলের পক্ষে। তবে, সেই দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, এটা পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নয়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এই ধরনের ছবি অনুমোদন করে না তৃণমূল।তদন্তাধীন আর জি কর কাণ্ড নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরির অভিযোগে শুক্রবার রাতেই দলের নির্দেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয় প্রান্তিক ও রাজন্যাকে। ছবিতে রাজন্যা মুখ্য ভূমিকায় ও প্রান্তিক পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার বিজেপি নেতার ফোন যায় রাজন্যার কাছে। দীর্ঘক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়। রাজন্যার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, রুদ্রনীল জানিয়েছেন, আমরা পাশে আছি। কোনও অবস্থাতেই ছবি রিলিজের দিন পিছিয়ে দেবে না। রাজ্যন সরকারের কোনও হল না পেলে ক্ষতি নেই। বিজেপি থেকে বিকল্প হল ও শোয়ের ব্যাবস্থা করিয়ে দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সাহায্যজ রাজন্যাপদের পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন রুদ্রনীল। একসময় সোনারপুরে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা রাজন্যাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন। এখনও তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁর অনেক ছবি রাজন্যা্র ফেসবুকে রয়েছে।দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর সংবাদ মাধ্য।মে রাজন্যাও বলেন, সাংসদ অভিনেতা দেবের ‘প্রধান’ ছবি তৈরি এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পুজোর মুখে তিনটি গান লেখা ও সুর দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তোলেন, দেব-কুণাল কি দল থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন? এমন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল জানান, “ওঁরা বয়সে অনেক ছোট। তাই এনিয়ে একটি কথাও বলব না। তৃণমূল কোনও সিনেমা তৈরির বিরোধী নয়। কিন্তু আমরা আরজিকরের ঘটনায় প্রথমদিন থেকেই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করে আসছি। একটি তদন্তাধীন ঘটনা নিয়ে ছবি করার বিষয় দল অনুমোদন করে না।“ এরপরই মোক্ষম খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “আমরা ছোট মানুষ। এত কিছু বুঝি না। ওঁদের ছবি ওঁরা অস্কারে পাঠিয়ে দিক।“

রাজন্যারা বলেন, এই ছবির দলের পক্ষে আছে। এই দাবির পাল্টা প্রাক্তন সাংসদ জানান, এটা
পক্ষে-বিপক্ষের বিষয় নয়। আরজি করের একটি বর্বরোচিত, স্পর্শকাতর, তিলোত্তমা-র নাম নিয়ে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনও ছবি দল বা সরকার অনুমোদন করা না। একই সঙ্গে কুণাল জানান, তৃণমূল শিল্পীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এই ধরনের ছবি দল বা সরকার অনুমোদন করা না।