কঙ্কালীতলায় কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত, পুজো দিলেন মমতা-অভিষেক-সুকন্যার নামে

বীরভূমে (Birbhum) ফিরে দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে, পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করার পরে রবিবার সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে  পুজো দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত। মন্দির থেকে বেরিয়ে জানালেন, মেয়ে সুকন্যার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামেও পুজো দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে জানান, বাংলার সব তীর্থক্ষেত্র ঢেলে সেজেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে দিন ছয়েক আগে দিল্লির (Delhi) তিহার জেল থেকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন তৃণমূল নেতা ও তাঁর কন্যা। বোলপুরে ফিরে পরের দিনই দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। যান গ্রামের বাড়িতে। অনুব্রত (Anubrata Mondal) জানান, শারীরিক ভাবে অসুস্থ তিনি। পায়ের সমস্যায় ভুগছেন। কলকাতায় আসবেন চিকিৎসা করাতে। এর মধ্যেই এদিন  দুপুরে কঙ্কালীতলায় সকন্যা পুজো দিতে যান বীরভূমের কেষ্টদা। পুজো দিতে গিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদেন তিনি।পুজো দিয়ে বেরিয়ে অনুব্রত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। তিনি কঙ্কালীতলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে, সেটা করে দেব।”

এর পরেই অনুব্রত জানান, “মায়ের কাছে আসার জন্য ছটফট করছিলাম। আমার বাড়ির কাছে মন্দির। আসব না? আমি বীরভূম জেলার সমস্ত মন্দিরেই যাব।” কাদের নামে পুজো দিলেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমার মেয়ে, স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।”