অপেক্ষাকৃত কম মানের চা উৎপাদন যে সব চা বাগানে, সেখানেও বোনাসের (bonus) পরিমাণ বেশি। অথচ পাহাড়ের চা শ্রমিকদের (tea labours) উৎপাদন ও দাবি ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও বোনাস বাড়াতে অনড় চাবাগান মালিকপক্ষ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে (tripartite meeting) সমাধান সূত্র না মেলায় সোমবার ১২ ঘণ্টা বনধ চলছে পাহাড়ে। ফলে বাণিজ্যিক ট্রাক থেকে পর্যটক, দীর্ঘ ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। বনধকে সমর্থন জানিয়েছে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দল।

চা শ্রমিকদের দাবি ছিল ২০ শতাংশ বোনাসের। তরাই ডুয়ার্স (Terai Dooars) এলাকাতেও মালিকপক্ষ ১৬ শতাংশ বোনাস দিতে রাজি হয়েছে। তবে পাহাড়ের মালিকদের সংগঠন ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে প্রস্তুত নয়। রবিবারও শ্রমিক ভবনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে একই অনড় মনোভাব দেখায় মালিক পক্ষ। ফলে সোমবার প্রতিবাদ বনধের ডাক দেন চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠন।

সোমবার সকাল থেকে পাহাড়ের সব চা বাগানে (tea garden) চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ রাখা হয়। বিভিন্ন জায়গায় চা শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি চালকদের অনুরোধ করে বনধ পালন করেন। কালিম্পং থেকে কার্শিয়ং সর্বত্র বনধে ব্যাপক প্রভব পড়ে। এই পরিস্থিতিতে টি অ্যাডভাইজারি কমিটি ও রাজ্যের শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন চা শ্রমিকদের একাংশ।
