আর জি কর মামলার শুনানিতে সু্প্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির (Chief Justice of India) কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী যে তথ্য পেশ করেছিলেন, তাকে কার্যত মিথ্যা প্রমাণ করে ফের কর্মবিরতিতে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। বাংলার চিকিৎসা পরিষেবায় সম্পূর্ণ পরিষেবা দেওয়া নিয়ে যেখানে সর্বোচ্চ আদালত জোর দিয়েছে, সেখানে শুনানির পরদিনই পূর্ণ কর্মবিরতির (full cease work) পথে জুনিয়র ডাক্তাররা।

সোমবারের শুনানির পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মতো আট ঘণ্টা জিবি বৈঠক শেষে কর্মবিরতির (full cease work) সিদ্ধান্তে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার তাঁরা দশ দফা দাবি তুলে এনেছেন। তার মধ্যে দ্বিতীয় দফাতেই রয়েছে স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ। অথচ যখনই যে পদে পরিবর্তন চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (junior doctors) সেই পদেই পরিবর্তন এনেছে রাজ্য সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শেষ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তার জন্য তৈরি ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সে (NTF) রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন। যেখানে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন তাঁরা। তারপরেও রাজ্যে পরিষেবা বন্ধ করার আগে একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত অজুহাতই সামনে এনেছেন জুনিয়ররা (Junior doctors)।

এমনকি এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচার ব্যবস্থার উপরও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। ধীরগতিতে শুনানি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাই নির্যাতিতার বিচারের দাবি তাঁদের। অথচ সোমবারের শুনানিতেও সিবিআই বিশেষ সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তারপরেও চিকিৎসকদের হঠকারি সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে চলেছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এমনিতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তর থেকে দক্ষিণের ১০-১২টি জেলা। সাধারণ মানুষের জীবন কঠিন পরীক্ষার মুখে। সেই পরিস্থিতিতে এই কর্মবিরতি তাঁদের দুর্ভোগ যে আরও বাড়াতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
