পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থলে ডাক্তাররা, আর জি করে স্ক্যানারে জুনিয়ররাও!

সেখানে তখনই উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক। অচৈতন্য অবস্থায় (unconscious) এক ভদ্রমহিলা পড়ে ছিলেন মেঝেতে

আর জি করের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ কী আদৌ বিকৃত হয়েছে? যদি তা হয়ে থাকে তার জন্য দায়ী কারা? পুলিশের জেনারেল ডায়েরি (general diary) বুকে কী ছিল? সেই যে জিডির যে তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছে তাতে তথ্য বিকৃতির দায়ে এবার জুনিয়র চিকিৎসকরাও। সেই জিডি (GD) রিপোর্টে সামনে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থলে মৃতদেহ ঘিরে ছিলেন ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানিতে বারবার সিবিআই মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করেছে। বারবার কলকাতা পুলিশকে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে জেনারেল ডায়েরি (GD) ও এফআইআর (FIR) দায়েরের সময় নিয়ে। যদিও রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল বারবার সেই প্রশ্নের যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তবে এই প্রশ্নে তোলার পিছনে সিবিআই বা চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবীদের মূল লক্ষ্য ছিল কলকাতা পুলিশ। যাঁদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ আনার চেষ্টা চলেছে তথ্য প্রমাণ লোপাটের।

অথচ আর জি কর পুলিশ আউট পোস্টে (R G Kar police outpost) ৯ অগাস্ট বেলা ১২.০৫ মিনিটে যে জিডি দায়ের হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ হাসপাতালে রুটিন রাউন্ডে ছিলেন আউট পোস্টের এএসআই (ASI)। সেই সময় বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী তাঁকে চার তলার চেস্ট মেডিসিন (chest medicine) বিভাগের ঘটনার কথা জানালে তিনি তখুনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তখনই উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক। অচৈতন্য অবস্থায় (unconscious) এক ভদ্রমহিলা পড়ে ছিলেন মেঝেতে, এমনটাও উল্লেখ রয়েছে জেনারেল ডায়েরিতে। তিনিই আর জি কর আউট পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও টালা থানায় খবর দেন।

অর্থাৎ যে ভিডিও বা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পুলিশের উপস্থিতির প্রমাণ দিয়ে কলকাতা পুলিশের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তার আগেও জল অনেক দূর গড়িয়েছিল, তা জিডিতেই প্রমাণিত। এই জিডির কপি সিবিআইয়ের হাত ঘুরে সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে। সুপ্রিম কোর্ট শেষ শুনানিতে জানিয়েছিল সিবিআই নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে। সেই তথ্যের মধ্যে এই জেনারেল ডায়েরিটিও রয়েছে কিনা, সেটাও বিচার্য। যদি তথ্য প্রমাণ লোপাটের তদন্ত হয় তবে এই জেনারেল ডায়েরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেক্ষেত্রে পুলিশ পৌঁছানোর আগের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ সেখানেই লুকিয়ে থাকবে কারা পুলিশের আগেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।