অসমের চার জেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ানো হয়েছে।আসামের এই চার জেলা হল তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, চারাইডো এবং শিবসাগর।এই চার জেলায় আপাতত আর্মড ফোর্সেস (স্পেশ্যাল পাওয়ার) অ্যাক্ট বা আফস্পা বহাল থাকবে।এই বিশেষ আইনে সেনাবাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক, তল্লাশি, যেকোনো জায়গায় অভিযান চালাতে পারে। গুলি চালনার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হয় না।

সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, অসমের বিজেপি সরকার কেন্দ্রকে চার জেলায় আফস্পা বলবৎ রাখতে পরামর্শ দিয়েছিল। কারণ হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণেই এটা জরুরি। পড়শি দেশে এখনও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নয়। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা আইন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি এবং জন অসন্তোষের কারণে গত কয়েক বছর থেকে এই অঞ্চলের একাধিক রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে ধাপে ধাপে আফস্পা প্রত্যাহার করে হচ্ছিল।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মাসেই অসামে ওই চার জেলা থেকে বিশেষ আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে আরও অন্তত ছয় মাস ওই আইন বলবৎ থাকবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে, অসমের বিজেপি সরকার কেন্দ্রকে চার জেলায় আফস্পা বলবৎ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে।

তাদের দাবি, আওয়ামী লিগের আক্রান্ত লোকজন প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আসতে চাইছেন। অন্যদিকে, দাগি আসামিরাও ওই সুযোগে ভারতে ঢুকে পড়তে চাইছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর শতাধিক দাগি আসামিকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে একাধিক জেল ভেঙে বন্দিরা পালিয়েছে।ভারতীয় গোয়েন্দাদের মত, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি এবং দুর্বল প্রশাসনের সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে পড়ার সুযোগ নিতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে সেনা বাহিনীও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্ত থাকলে অনুপ্রবেশ আটকানো সহজ হবে।

