মুম্বইয়ের রাস্তায় গুলি করে খুন মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি (NCP Leader Baba Siddique Killed)। এই খুনের পেছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Lawrence Bishnoi) যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান করেছিল মুম্বাই পুলিশ। এরপরই রবিবার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। এই পোস্টে বি-টাউন স্টার সলমন খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেনে নেওয়া হয়েছে, সিদ্দিকি খুনে তাঁরা জড়িত। (এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ)।

ঘটনার তদন্তে নেমে সলমন খানের (Salman Khan) সঙ্গে সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠতার জন্যেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের (Bishnoi Gang) যোগ থাকার বিষয়ে আঁচ করছিল পুলিশ। এর মাঝেই রবিবার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘সলমন খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিকি এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন ভদ্র সেজেছিলেন। দাউদ এবং অনুজ থাপানের সঙ্গে ওঁর সম্পর্কই ওঁর মৃত্যুর কারণ। কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু সলমন খান বা দাউদের গ্যাংকে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁরা সাবধান! আমাদের কোনও ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিলে, আমরা শাস্তি দেব। আমরা প্রথমে মারি না। প্রতিশোধ নিই।’’ আর এই পোস্ট ভাইরাল হতেই অতিদ্রুত সলমনের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের শহরতলি বান্দ্রায় দশেরার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনা তদন্তে তারা চারটি বিশেষ দল গঠন করেছে। গুলির ঘটনায় তিনজন জড়িত জানিয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যজনকে ধরা সম্ভব হয়নি। তাঁর নাম শিব কুমার। তিনিও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।এদিকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেলে। তবে অসামাজিক কাজকর্মে সক্রিয় তাঁর গ্যাং। এর আগে বলিউডের ভাইজান বলে পরিচিত সলমানের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে সলমনের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

মুম্বইয়ে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাবা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকিরও। ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সংস্থাকে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তে ২০১৮ সালে সিদ্দিকির ৪৬২ কোটি টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।

আরও পড়ুন- মোদির ‘নয়া ভারত’: গৌরী লঙ্কেশের খুনে জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের গেরুয়া সম্বর্ধনা
