দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার দুদিনের মাথায় রাজ্যের নজরে এবার আর জি কর (RG Kar Medical College and Hospital) মামলার সুপ্রিম শুনানি। CBI- স্ট্যাটাস রিপোর্ট থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তারদের (WBJDF) আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘিরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কী পর্যবেক্ষণ দেয় তার অপেক্ষায় মঙ্গলের দুপুর। এই নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার ষষ্ঠ শুনানি হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। একদিকে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করেছে তার তালিকা জমা দেবে। অন্যদিকে তদন্তের গতিপ্রকৃতির সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক এবং সমর্থনকারীদের জন্য শুনানি দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের পুজো কার্নিভালের দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কোন নয়া সিদ্ধান্ত সামনে উঠে আসে এবং তার প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।


এদিন দুপুর ২টো থেকে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি শুরু হবে। মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৪২টি পক্ষ রয়েছে। তাদের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ২০০-র বেশি আইনজীবী। তার মধ্যে রয়েছে অন্যতম প্রধান ন’টি পক্ষ। আর জি কর মামলার পূর্ববর্তী শুনানিতে ২৮টি মেডিক্যালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়, রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজে ৬১৭৮টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে। পাশাপাশি আর জি করে অতিরিক্ত ৫৭৫টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে ২৫৫টি সিসিটিভি বসানো হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ। আর জি কর হাসপাতালে বাকি সিসিটিভি বসানোর কাজ ২০ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে বলে রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয় গত শুনানিতে। রাজ্যের তরফে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাকি কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা জানানো হলেও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলেছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করা নিশ্চিত করতে হবে। এদিন সেই রিপোর্ট দেখবেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারেরা ঠিক মতো সব পরিষেবার কাজ করছেন কি না, সেই নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
