ভারত পাকিস্তান এক মঞ্চে থাকলে জঙ্গিদমন নিয়ে আলোচনা হবে না, এমনটা হতেই পারে না। সেই সঙ্গে এসসিও (SCO) মঞ্চে চিনের উপস্থিতি ভালো প্রতিবেশী হওয়ারও দাবি জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তবে রাশিয়া-চিনের নেতৃত্বে সংঘটিত এসসিও বৈঠকে ভারতের জঙ্গিবিরোধী, বিচ্ছিন্নতা বিরোধী, চরমপন্থী বিরোধী বার্তাকে তেমন আমল দেওয়া হল না। ইসলামাবাদে (Islamabad) আয়োজিত এসসিও বৈঠকে তার থেকে বেশি গুরুত্ব পেল বাণিজ্যিক চুক্তি ও কর্মসংস্থান।

বুধবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে (Islamabad) অনেক জল্পনার পরে এসসিও (SCO) বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি তিন অশুভ (three evils) বলে উল্লেখ করেন আতঙ্কবাদ (terrorism), বিচ্ছিন্নতাবাদ (separatism) ও চরমপন্থাকে (extremism)। বিশ্বাস, পাস্পরিক আলাপচারিতা, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর বার্তা দেন তিনি। বাণিজ্য ও পরিবহনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের নজির থাকলে কোনওভাবেই এসসিও অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির পক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে না বলেই দাবি করেন তিনি।

এসসিও (SCO)-র ২৩তম বৈঠকে সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে নিয়ম মেনে, বিভাজন মানসিকতা থেকে সরে এসে, উন্মুক্ত, সঠিক, গঠনমূলক ও স্বচ্ছ বহুমতক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাণিজ্যে জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পন্থা ও ওষুধের ব্য়বহারের উপর জোর দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ভারতের চিরাচরিত ওষুধ (traditional medicine) নিয়ে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। এছাড়াও ভারতের স্টার্টআপ (startup) ব্যবসা সংক্রান্ত নীতিগুলিকে মান্যতা দিয়ে চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বুধবারই বৈঠক শেষে ভারতে ফেরেন জয়শঙ্কর।
