বর্ণহীন আনুষ্ঠানিকতায় শেষ বিদায় নিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, প্রাক্তন মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস তাকে মনে রাখবে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে।বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়।তার আগে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কোনও আয়োজন ছিল না।পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শেষ সময়ে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। দলের শীর্ষ নেতাদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।

বুধবার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ রমনায় তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে ভক্ত, অনুরাগী ও স্বজনরা সেখানে ভিড় করেন।শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তাকে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।তবে বিদায় বেলায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মতিয়া চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মতিয়া চৌধুরী তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিচয় সবাই জানে। কিন্তু তাকে কোনও গার্ড অব অনার জানানো হয়নি। কবরস্থানে দেখলাম কিছু পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। হয়তো এত লোকজন দেখেই তারা এসেছিল। কিন্তু তাকে গার্ড অব অনার দিতে কেউ আসেনি।


ঢাকা উত্তর সিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান, মতিয়া চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছিল। তা ছাড়া এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনও নির্দেশ তারা পাননি।

