পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা! ময়নাদন্তের পর বাড়ছে রহস্য

ময়নাতদন্তে  পূর্ণিমা কান্দুর পেটে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি পেয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিহত ঝালদার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য! পরিবারের অভিযোগ, তাঁর শরীরে আস্তে আস্তে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পূর্ণিমার দেহ ময়নাতদন্তের পর এমনই অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন তপনের ভাইপো মিঠু কান্দু। ময়নাতদন্তে  পূর্ণিমা কান্দুর পেটে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি পেয়েছেন চিকিৎসকরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নবমীর রাতে বাড়িতে ছিলেন ঝালদা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা। সেই সময় পরিবারের লোকজন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তারা ফিরে এসে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পূর্ণিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পূর্ণিমার মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কী ভাবে তার মৃত্যু হল, তা নিয়ে পরিবারের মধ্য ধন্দ দেখা দেয়। তার পরই তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শনিবার পুরুলিয়ার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পূর্ণিমার ময়নাতদন্ত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি নেপাল মাহাতো এবং ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু।তার ভাইপো তথা ঝালদার তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু বলেন, আমি যা বলেছিলাম সেটাই সত্যি হল। কাকিমার মতো সুস্থ, সবল মানুষ আচমকা মারা কেন যাবেন? ‘স্লো পয়জন’ দিয়ে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার বিষয়টি রয়েছে। এর পর আমরা অভিযোগ করব।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন উপ- পুরপ্রধান তাহলে কি আত্মহত্যা করেছেন? নাকি তার খাবারে কেউ বা কারা বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল? পরিবারের তরফে অভিযোগ হলে পুলিশ এই বিষয়টি তদন্ত করবে। বিষ খেয়ে নিলে খুব সাধারণভাবে মুখে গ্যাঁজলা বার হয়। এক্ষেত্রে কান থেকে রক্ত বার হয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।এর মধ্যেই বিজেপি ও কংগ্রেস এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের  ১৩ মার্চ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন তপন কান্দু।আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশ থেক তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই ঘটনায় জেলে রয়েছেন সাত জন।এখন দেখার, পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যু রহস্যের জট কত দ্রুত খোলে।